বলিষ্ঠ উচ্চারণ অপেক্ষায় সুঠাম শব্দরা ভিড় করে চারপাশে
কতোটুকু আর নিতে পারি ভালোবেসে আদরে  
একান্ত আপন ভেবে বুকের ভিতর গেঁথে রাখি যাকে
স্বপ্নের ছদ্মবেশে গভীরতর আলিঙ্গন শেষে
সেও তো পালিয়ে যায় জীবনের ফেনিল উৎসবে


তবু ভুলে যাওয়াটা খুব শক্ত
তার বিচ্ছেদাক্রান্ত নীল চোখ,তাকিয়ে থাকা অভিমান
বৃষ্টিভেজা পাতার শিহরণ, খোলা জানালা দূরের আকাশ,  
পুষ্পগন্ধে মাতাল ভোর, নির্লিপ্ত হাসি—  
আলো জ্বালিয়ে অপেক্ষায় থাকি—যদি ফিরে আসে অকস্মাৎ
উঁকি দেয় দরজায়, মুখ বাড়িয়ে জিজ্ঞেস করে
কেমন কাটছে আজকাল ?
কতোদিন বসি না মুখোমুখি আঙুলে আঙুল ছুঁয়ে নিঃশ্চুপ!


যদি তার বিশ্বাসী হাত রাখে কাঁধে পরম মমতায়
কিংবা শিশুর মতো লাফিয়ে উঠে ঘারে, ঘুরতে চায় জগতময়
স্নেহ আহ্লাদে আমি কি কোলে তুলে নেব না তাকে,
ভেসে যাব না তার স্পর্শসুখে


হোক না মেঘাচ্ছন্ন দিন—পাঁজরে মুখর জলের কোরাস  
শব্দ’রা আসে যায় নিঃশব্দে, সল্লোসে—
উৎসমুখে ভাঙা ঢেউ আছড়ে পড়ে, চেতনায় উড়ন্ত গাংচিল
তীক্ষ্ণ দৃষ্টি—ভয়ে আঁতকে উঠি
বন্য ছোঁ মেরে এই বুঝি নিয়ে যাবে যাবতীয় রত্নরাজি  
    
হোক না কিছু শব্দ আত্মঘাতী, বেয়ারা, ছুঁড়ে ফেলুক, অবজ্ঞা করুক    
ঘৃণার ফলায় বিদ্ধ করুক
তবু প্রিয়তম আংটির মতো পড়ে নেবো দ্বিধাহীন অনামিকায়
সুঠাম শব্দরা ভিড় করে চারপাশে বলিষ্ঠ উচ্চারণ অপেক্ষায়  
মেতে ওঠে জলকোলাহলে, রঙ বেরঙের উদ্ধত ডানা পালকে পালক        
কতোটুকু আর নিতে পারি ভালোবেসে আদরে