রাত্রির নাভি ছিঁড়ে সরোবরে নেমে এসেছে সরল জ্যোৎস্না ।
একরোখা মাতালের প্রলম্বিত শিসে ফেটে যাচ্ছে নিসর্গ জরায়ু;
চোখ থেকে ঝড়ছে অবিরাম কুয়াশা—জমে যাচ্ছে স্নায়ু অস্থি মজ্জা !
জন্মাবধি জবুথুবু ডানা—পালকে অমল গন্ধ নিয়ে
দুর্লভ মাছের লোভে বসে আছে ঘাসে জঙ্গলে—জলের কাছাকাছি
মানুষের ছদ্মবেশী এক রাতচরা পাখি!    
                                
জলের ঠোঁটে জমাট রক্ত—পান করে সিক্ত বসনে
তুমিই কী ফিরে গেলে আগুনের শয্যায়?
কাকে মেলে ধরবে ওই গভীর গোপন অগ্নিকাঞ্চন পুষ্প?
সৌরভে মাত প্রতিটি রাত জ্বলে যাচ্ছে, পুড়ে যাচ্ছে
রক্তের ভিতর জেগে উঠছে বিষণ্ণ এক সমুদ্র !
অথচ শিকারির নগ্ন নিশানা ভেদ করে লোহা লক্করে লেগে থাকা
মানুষগুলো বেশ জমিয়ে তুলেছে আসর
মুদ্রার তালে তালে ভাঙছে মেঘ বৃষ্টি—আকাশের নীল করতল!


ফসলের উৎসবে শবের মিছিলে হারিয়ে যাচ্ছে কাকতাড়ুয়া !
ক্রমশ নিভে যাওয়া আলোর রেখায় একদৃষ্টে চেয়ে আছে
অতর্কিতে ঘুম ভেঙে যাওয়া শিশু—যীশুর মতো নিষ্পাপ।
লেফট রাইট, লেফট রাইট করতে করতে
বুকের ওপর এগিয়ে আসছে ক্রুশবিদ্ধ পা রক্তে মাখামাখি;                                                
প্রিয়তম মুখ বিবর্ণ! গলা চেপে ধরছে বিহ্বল জামার হাতা!


কোথাও মারাত্মক কিছু একটা ঘটছে—ফলের আঁশ ফেটে বীজ,
মাটি ফেটে অঙ্কুর—আমার তো শুধু বিশুদ্ধ আলো হাওয়া জল চাই !!