আজকাল মানুষের ছবি আঁকতে গিয়ে প্রায়ই
জন্তু জানোয়ার এঁকে ফেলি
ফুলের গন্ধ নিতে গিয়ে মলমূত্রের গন্ধ
নিয়ে ফিরে আসি
তার নাম ধরে ডাক দিলে বুকে উঠে আসে জলরাশি—
যখন তাকে দেখি, দুভাবেই দেখি—ফুল ও কাঁটা
বসে থাকি নিবিড় রক্ত যখমের খুব কাছেই !
তবুও অমোঘ বিশ্বাসে সুন্দরের দিকেই
মুখ ফিরিয়ে থাকি, থাকতে হয় অনন্তকাল—
মোহ মায়া ভালোবাসা ভয়—আমাকে নিয়ে খেলে
দিনরাত্রি চৌষট্রি কলায়—
অর্থহীন ভাঙা শব্দের শরীর অবিরত জ্বলে, জ্বালায়—
ঘড়ির কাঁটা অক্ষত জিভ নাচে, নাচায় ইচ্ছামতো
উত্তর দক্ষিণ দুই মেরু—
স্তনজ্যোৎস্নায় দৃশ্যপট ভিজে গেলে
দেহের অমীমাংসিত সীমায় কেবল উগ্রতা বারে
চাঁদকে মনে হয় আগুনের আঁতুড় ঘর
নিষিদ্ধ জলের জার্নাল—ধরে ফেলি বিপরীত স্রোতস্বর
মুখ ফিরিয়ে থাকি, থাকতে হয় অনন্তকাল—
সুন্দরের দিকেই!