তোমার ভরসায় আটকে আছি স্বপ্নতন্তু মায়াজালে।
যারা বেঁচে আছে তাদের চোখে রক্তাভ ক্ষুধা—রৌদ্র শুষে নিয়েছে
জীবনের রক্ত-মাংস-ঘাম—আমলকীর সব স্বাদ
গোপন চিঠি হাতে ঢুকে পড়েছি পাখিদের চক্রব্যূহে—
এইবার পেয়ে যাবো তোমাকে খুব সহজে—অলিক মৌমাছি;
দেখবো কোন ফুলে মধু নিয়ে কতটা রেখেছ বিষ—আপন হুলে!


আমাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে রেখেছে গোধূলির শিষ
তোমার গন্ধভরা মাতাল সন্ধ্যা, নিসর্গের অগ্নি উত্তাপ
ঘাতকের সাজানো কক্ষপথেই ফিরে আসে বার বার—
চেতনানাশক শব্দের হুংকার
আঁতুড়ঘরে শিশুর মুষ্টিবদ্ধ হাত—করতলে জমে আছে নীলাভ আকাশ
নিস্তরঙ্গ জল বাষ্পীভূত হতে হতে প্রায়ই নিঃশেষ !


বায়সের ঠোঁটে ঠোঁটে ইতিহাসের পাকা হাড়গোড়
ভেঙে যায় প্রতিটি স্বাধীন স্বতন্ত্র ভোর—
তোমার নামে রাস্তায় রাস্তায় গান গায় ফেরিওয়ালা কুকুর!
দিনের পর দিন তোমার ঐ বেদনাসিক্ত আঁচল—
ছায়া দেয়, মায়া দেয়, শান্তি দেয় দেহ ও মনে
পারমাণবিক মানুষের শোকগ্রস্ত পালক দেখে চতুর্পাশে জ্বলে ওঠে
                                            হর্ষধ্বনি, হাস্যমুখ—


চাপড়ে চাপড়ে ফেটে যায় গোল টেবিল—আলোর আবেগ!
বিষণ্ণ পৃথিবীর গর্ভাশয় ফেটে বেরিয়ে আসে অগ্নির উল্লাস—অস্তিত্বের শেষ চিৎকার !
জেনে যায় সবাই—কী অমল বিশ্বাসে বৃক্ষশাখে ঝুলে থাকে
ঝরে পড়ার খুব কাছাকাছি হলুদ পাতা  
নিমেষেই হাওয়া ঢোকে, ফুলে ওঠে দূষিত ফুসফুস;
জ্বলে যাই, নিভে যাই— অন্তিম শ্বাস!


জীবনের শেষ নোঙর ছেড়ে যাবার আগে বাঘিনীর মতন গর্জে উঠে
একবার আঁচড় কাটো পিঠে পাঁজরে
খুঁজে নাও জীবনের ভিতর আরও এক কঠিন জীবন
স্তব্ধ অন্ধকারে নিবিড়তম নক্ষত্রের মতো জেগে থাক একা