ওহ জীবন!
টের পাচ্ছি, টের পাচ্ছি প্রতিমুহূর্তের এই বেঁচে থাকা
আঘাত প্রত্যাঘাত বজ্রনিনাদ
বিচূর্ণ জীবাশ্ব সন্তানের মুখ, আকাঙ্ক্ষা ভবিষ্যত!  
এমন তো চাইনি কখনো
সুখদ সজ্জায় কেবল জমপেশ লেহন মর্দন  
অতঃপর স্তনের বোঁটায় ঘাতককাঁটা বিদ্ধ করে চোখ
অগ্নিজঠরে নীরস সমর্পণ!


ওহ জীবন!
টের পাচ্ছি, টের পাচ্ছি প্রতিমুহূর্তের এই বেঁচে থাকা
ক্রমশ নাভি থেকে ছিঁড়ে যাচ্ছে মানচিত্র
কৃষ্ণ অরণ্যে সড়ে যাচ্ছে চাঁদের ছায়া দুগ্ধ ধবল জ্যোৎস্না  
আর তুমি, ধ্বংসের বেদিতে বসে  
রক্তদানা থেকে পৃথক করছ জলীয় লবণ!


ওহ জীবন!! ওহ কবিতা!!  
টের পাচ্ছি নির্মম আঙুল স্পর্শ প্রদাহ
ঐ তো জলের তরঙ্গে অজস্র অব্যক্ত ধ্বনির মর্মর
অক্টোপাস, জাপটে ধর অন্ধকার !
বুক থেকে নেমে যাচ্ছ না কেন বধির পাথর?
দেখ,আলোর জাহাজ পকেটে ধেয়ে আসছে শব্দ দেবতারা
জান্তব হাতে এবার নিশ্চিত গোলাপ ফুটবে
ওহ কবিতা!!  বুঝে নাও জীবনের দায়...


বেড়িয়ে এসো শক্ত খোলস ভেঙে সফেদ তরল
ভাসিয়ে নাও, ভাসিয়ে নাও... সাহসী হও...
রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে দাও আলো, আলো, কেবল আলো...।