রক্তে আর প্রেম নেই কোন!
তাতানো জীবন,
ইচ্ছাগুলোর স্বেচ্ছা নির্বাসন
ষষ্ঠাংগে উত্তাপ ছড়ায় না পরস্পরের নিঃশ্বাস!


শিরায় শিরায় বিরহ বুদবুদ, অবিশ্বাস;
ঠোটে তৃষ্ণা, বুকে অগ্ন্যূৎপাত
চোখে বিষাদ বৃষ্টিপাত!
পোড়া সংসার উচ্ছন্নে যাক
বেঁচে থাকাটাই যখন মুখ্য।


তাই বলছি, এখনো সময় আছে
এসো একে অপরকে ছিড়ে ফেলি
হৃদবৃন্ত থেকে;
কি লাভ! মৃত বৃক্ষে অভ্যাসবশত
পরস্পরকে লতার মত জরিয়ে রেখে;


সূর্যের সোনালি আভায় ফিরে আসবে কি
সেই সনাতন সবুজ?
বাগানের সব পাখি?
স্বপ্নের গাঢ় আচ্ছাদন ?


একদিন আমরাই তো সুন্দরের অর্চনায়
একে অপরের দুঃখ মুছে নিয়েছি
মানবিক খেলা শেষে
বাঁচার অপার উল্লাসে!
একে অপরের অতলে তলিয়ে যেতে যেতে
পলাতক সময়ের হাতে তুলে দিয়েছি
যৌবনের সমস্ত সঞ্চয়, উদ্বৃত্ত সুখ;


কালের তিথিতে নদীও হয় নিরব ঘাতক!
গ্রাস করে ঘুমন্ত বাগান,বাড়ি,
জাগ্রত ফসলের মাঠ,আস্থা-বিশ্বাস!
পৃথিবীর বুকে তখন কেবল জলের ত্রাস!