তোমার অগ্নিস্পর্শ, সোনালি চুম্বন, উষ্ণ হৃদকম্পন উপেক্ষা করে
কেন যে ক্রোধে ঘৃণায় ফেটে না গিয়ে
এখনও মিশে আছি স্বাভাবিক—
বিপুল এই জনারণ্যে ভেসে আছি আত্মস্রোতে আরও যারা আছে
রক্তমাংসে আনন্দ ধ্বনি তুলে নিষাদ বিষাদে একাকার—তাদের সাথে
তাদেরই মতো দেখা শুনা জিজ্ঞাসাহীন একটা জীবন—
ভীরু নপুংসক ভন্ড কপট উন্মাদ প্রতারক!
চারপাশে কেবলি সন্ত্রাসে কাঁপছে জল!
উন্মাদ ঢেউয়ের শীর্ষ রেখায় হাঙরের নীল হাসি লুটোপুটি!  
রৌদ্রতপ্ত করোটি বিদ্ধ করে গাঙচিলের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি—
লোভাতুর জিভ ছুঁয়ে ফেলে সহজেই হিংসার বিদ্যুৎ
জ্বলে উঠি আপাদমস্তক—
চোখের কুহক সরিয়ে দেখি, তার সাদা সীমানায় শান্তির কোন চিহ্ন নেই
শুধু রক্তের মতো লাল আকাশ—
আমাকে ঘিরে ফেলে বিদীর্ণ দর্পন অজস্র নগ্ন ছায়া প্রেত নৃত্য
হস্তরেখা মেপে মেপে আর কোথায় পালাব?
প্রতিটি সকাল প্রতিটি সন্ধ্যা—
এক একটা মৃত্যু এসে ব্যঙ্গচ্ছলে ছুঁয়ে যায় উষ্ণ করতল!
উঁকি দিয়ে দেখি স্নানের ঘর শুন্য খালি; বাতাসে ভেজা টাটকা গন্ধ—
তার অমল অস্তিত্ব—যেন এইমাত্রই ছিল—এখনও আছে কোথাও !
পায়ের তলায় পিষ্ট ডালিম দানায়
তার রক্তের চিহ্ন পাই—আগেও পেয়েছে অনেকেই!