বৃক্ষের কাছে মনুষ্য জীবন
নদীর কাছে পলিমাটি যে রকম ঋণী
তেমনি তোমার কাছে আজন্ম ঋণী আমি;
রমণী, তোমার চকচকে মুক্তোর মতো দন্তপাটি,
গোলাপি অধর আর মেঘ সদৃশ চুলের কাছে
আমার অনেক ঋণ জমা হয়েছে।


তোমার প্রতিটি চুম্বনে হৃদয়ের জমাট বরফ গলে
উচ্ছ্বল ঝর্ণার আবেগ দিয়েছে ঢেলে
কাব্যের বিরান রাজ্যে;
তোমার উষ্ণ আলিঙ্গনে আমার সাজানো বাগানে
অসংখ্য গোলাপ পাপড়ি মেলেছে লজ্জা ভুলে!
তোমার ভারী নিতম্ব আমাকে লক্ষ করে
কতো সরল-গরল-রসালো শব্দ দিয়েছে ছুঁড়ে
অবলিলায় অসভ্য উল্লাসে!


তোমার রাজহংসী চলা দেখে কতো বিশুদ্ধ পংক্তি
হাততালি দিয়ে নেচে উঠেছে করোটিরর ভিতরে;
তোমার চোখের বিদ্যুতে ঝলসে গেছে কতো কবিতা!
যুগল ভ্রুর ইশারায় হৃদয় প্রকোষ্ঠের কতো
সাজানো আসবাব ভেঙে তছনছ হয়েছে!
কতো ধূসর পান্ডুলিপি পথ হারিয়েছে
তোমার চরণ চিহ্ন ধরে!


তোমার নাভিমূলে ছড়ানো বিপুল বিরহ দানা
ক্ষুধার্ত চড়ুইয়ের মতো খুঁটে নিয়ে
করেছি সনাতন প্রেমের উদরপুর্তি।
দরিদ্র কৃষকের মতো কোন খাজনা ছাড়ায়
আজীবন তোমার তনুর ভাঁজে ভাঁজে চাষকৃত
বিশুদ্ধ শব্দ- ছন্দের সোনালি ফসল
বিলিয়ে দিয়েছি মঙ্গাপীরিত মননে ।


রমণী, তোমার কাছে অনেক ঋণী আমি।।