আমি তো এখনো তোমাদের সেই সব গল্প বলিনি...
কিভাবে শৈবাল শরীর শুষে নেয় গ্রীষ্মের টানটান দুপুর
আর নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে ছড়ায় অগ্নিপ্রদাহ
কিংবা তুষার ঝরা দিনে কিভাবে জমে যায় জল-
সত্যজল শিরা উপশিরায়; শুধু সাদা সাদা মিথ্যা
বৃক্ষ লতায় পাতায় জাল বুনে যায়... জাল বুনে যায় ।


আমি তো এখনো তোমাদের সেই সব গল্প বলিনি...
কিভাবে মানুষ বর্শীতে গেঁথে ফেলে মাছ-আস্ত মানুষ !    
আর পেরিয়ে যায় উন্মাদ সব সাঁকো- লৌহ কাষ্ঠের কচকচ
কঙ্কালে কঙ্কালে তুমুল ভাঙচুর শেষে দেখে শখের বায়োস্কোপ
হাতে পায়ে নক্ষত্রের রক্ত মেখে করে বিশুদ্ধ রাত্রি উদযাপন
অতঃপর কতিপয় ব্রাহ্মণ কষে ধর্মের ছক-বিবিধ সংকেত !


আমি তো এখনো তোমাদের সেই সব গল্প বলিনি...
সভ্যতার উত্থানে পতনে
সুস্থ বোধ ও মননে কিভাবে মানুষ স্বপ্ন আঁকে রঙ পেন্সিলে;
মৃত্তিকা জঠরে ফলায় সোনার ফসল আর
গোধূলির রক্তরাগে নদী হয়ে যায় নারী !
ঠিক একইভাবে পাখির গান হয়ে যায় মুক্তির স্লোগান !


আহা! আকাশ!! সুনীল আকাশ !!    
আমি তো এখনো তোমাদের সেই সব গল্প বলিনি...
কিভাবে ক্রমশ ঘনিয়ে আসে অন্ধকার! মেঘ বৃষ্টি ...
হাওয়ায় হাওয়ায় মানুষের আর্তনাদ ভেসে যায়... ভেসে যায়...