শুধু একবার  ঘাস হয়ে জেগে ওঠো


আদিগন্ত ছায়া ফেলেছে ঘুমের আদল । শান্তির রাত।
পাশে শুয়ে দেখেছি, শয্যায় মানুষ মূলত নিঃসঙ্গ;
স্বাদহীন উত্তাপহীন স্তব্ধ এক উনুন—
মাংসের খাঁচা পড়ে থাকে অন্ধকারে একা একা!  
তাকে ফেরাতে পারিনি—জঙ্ঘায় ক্ষত নিয়ে মাইল মাইল
দৌড়েছি মাংসল হরিণ !
আগুন হয়ে আগুনের পাশে শুয়েছি—দহনের জ্বালা ভুলে
শিকারী হিংস্র,বন্য !
ছোবলে ছোবলে তুলে এনেছি সপ্তর্ষির নীল বিষ!
তবু তার শান্তি মেলেনি!  শান্তি মেলেনি !


জলের সাথে জল হয়ে নেচে দেখেছি ঢেউয়ের পাগলামো
কীভাবে নষ্ট করে ফসল ঘরবাড়ি সাজানো সংসার !
ফুলের সাথে ফুল হয়ে ফুটে দেখেছি, নিঃস্বার্থ ঝরে পরার আনন্দ
এতটুকুও বিচলিত করেনি সামগ্রিক স্বাভাবিকত্বকে
নিসর্গ নিংড়ে দিয়েছে সব মধু মক্ষীকার সুখ—    
শুধু তুমি, তপ্ত রোদ—এই শূন্য বালুচর! শুধু একবার  
ঘাস হয়ে জেগে ওঠো—
এই জলাধার সশ্যমাঠ অসীম আকাশ তোমার—প্রেমিক,
প্রেমিকার পাশে শুয়ে থাক দীর্ঘকাল—গানের সাথে
গান হয়ে বাজো মৃদুস্বরে—সমুদ্র ডাকছে, নদী থেমে যাবে,
প্রবহমান তুমি!