বুকের বর্ম খুলে আগুন জ্বালা, রক্তের সমস্ত নুন জ্বালিয়ে দে;
জ্বালিয়ে দে— অন্তত আরও কয়েক বার
শীর্ষবিন্দু,নাভিকুণ্ডলী  সমস্ত পাপ পঙ্কিলতা
স্বতঃসিদ্ধ হই!
কোন পুষ্পবাণেই বিদ্ধ হবো না আর!
চুম্বনে চৌচির কর্টেক্স; স্নায়ুতে ছুটছে তীব্র বিদ্যুৎ;
অসহ্য ঢেউয়ে থরথর কাঁপছে জাহাজ, চুইয়ে পড়া আলোর সফেদ ফেনায়
ডুবে যাচ্ছি ডুবে যাচ্ছি আপাদমস্তক তোর ইন্দ্রিয় জালে—
ওহ! শিরদাঁড়ায় কী তীব্র শিহরণ !
আবিশ্ব তরল আগুন— নেমে যাচ্ছি পাতাল থেকে পাতালে!
কেবল তোর ঝাঁঝালো দৃষ্টিই পারে বৃষ্টির কৌণিক পতন রুখতে
মাটি থেকে ছিঁড়ে যাচ্ছে শিকড়, বোঁটা থেকে ফুল,
শাখা থেকে পাতা, মুকুল—
অনন্ত সুন্দর—ঝরে যাচ্ছে, ঝরে যাচ্ছে            
শান্তির লোভে ডানা গুটিয়ে ভিড়ের মধ্যে মুখ ডুবিয়ে বসে আছি  
হৃদপিণ্ড ছিঁড়েখুঁড়ে কোথা থেকে যে ঢুকে পড়ছে
ঝড়ের মতন ওলট পালট একটা পৃথিবী—
চৌদিকে শুধু কাঁচ ভাঙার শব্দ !
বিদীর্ণ দর্পনে তোর মুখ—ভালোবাসার লালারসে
ভিজে যাচ্ছে প্রতিটি মুহূর্ত, পিষে ফেলছি স্বয়ং
তোর প্রতিরূপ টকটকে লাল রক্তজবা;
চাঁদের মতো আক্রান্ত ভিতরে বাহিরে অনিঃশেষ কলঙ্ক নিয়ে
ভেসে আছি মাংসাশী রাত্রির শরীরে!  
তবু ভালোবাসি গন্ধ স্বাদ—অমল বিশ্বাসে শুয়ে পড়ি পাখিদের শয্যায়
শিয়রে পোড়া পাণ্ডুলিপি, ছাই—
নিংড়ে যেতে যেতে তোর নিঃশ্বাস—অস্তিত্ব ধূলিসাৎ করে দেয়
এক একটা স্বপ্নময় ভোর!
জেগে উঠি কাল ঘুম থেকে তোর ধ্বংসস্তূপে—শুধু কাঁচ ভাঙার শব্দ!!