স্বপ্নের শবদেহ পড়ে আছে সবুজ প্রান্তরে !
আহার সন্ধানী শালিকের বুক থেকে
অকস্মাৎ কয়েকটা ছারপোকা
বেরিয়ে এসে টানতে টানতে নিয়ে গেল
আমাদের চোখের আড়ালে
মৃত রক্তের স্বাদ নিতে!


দূরথেকে কেউ একজন চিৎকার করে উঠল
-সটকে পড় হে, নইলে...আর রক্ষে নেই!
অনেক জল জমেছে
এবার ভাসিয়ে নেব, ভাসিয়ে নেব ,ভাসিয়ে নেব...


একজন মাতাল টলতে টলতে  
গায়ের জামা উর্ধ্বাকাশে ছুঁড়ে দিয়ে বলল  
-এখানে চাঁদের আলো মানায় না হে!
এবার অরণ্যে যাব, অরণ্যে যাব, অরণ্যে যাব...


একটি শিশু আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দিল
কয়েকটা নগ্ন মৃতদেহ হামাগুড়ি দিয়ে
স্বর্গের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে
কিন্তু স্বর্গের দুয়ারে তো কয়েকটা শিয়াল পাহারায় আছে ।


একজন দার্শনিক মাথা চুলকাতে চুলকাতে বলল
-আচ্ছা, ঈশ্বরের কি এবার
নদীর স্রোত থামিয়ে দেওয়া উচিত নয়?
সীমান্ত কাঁটাতার কিছুই মানে না


রাজনীতি কূটনীতির পরোয়া করে না
কেবল কলকল ধ্বনি তুলে বুকের উপর দিয়ে
বেমালুম বয়ে যায় আপন গন্তব্যে !
মানুষও কি এভাবে যেতে পারে?


জীবন মৃত্যুকে তুচ্ছ করে যারা কেবল  
দৌড়ায়, দৌড়ায় আর দৌড়ায়..
কোন দিকে যায় ? গন্তব্য কোথায়?
কিন্তু স্বর্গের দুয়ারে তো কয়েকটা শিয়াল পাহারায়!