চোখের সামনে বার বার ভেসে ওঠে তোমার আশ্চর্য বাগান—
দুহাতে উপুর করে ধরেছি চাঁদ, শরীর খুলে খুলে জ্যোৎস্না—গোপন তরঙ্গ  
ভেসে যাই অমোঘ তৃষ্ণা বুকে, কেঁপে ওঠে ত্রিলোক—


রাত্রির ঠোঁটে চুমুক দিয়ে ভিজিয়ে নিই গলা—চারপাশে এতো আলো হাওয়া
তবু নিঃশ্চুপ অন্ধকারে একমাত্র মাধবীলতা—
তোমার আশ্চর্য বাগান ছাড়া আর কোথায় শোভা পায় ?

ঝরের মতো সবকিছু লন্ডভনন্ড করে কেউ যায়
কোন মানুষ যেতে পারে এতো ভালোবাসা ফেলে—
যাওয়ার জন্য তো একটা সিদ্ধান্ত চাই, কিছুটা এলোমেল, কিছুটা গোছগাছ

অন্তত কিছুক্ষণ মুখোমুখি বসে ভাবা—
একদিন শান্তি, একদিন সুখ, প্রেম—অপার আনন্দে ভরা নদী
ইচ্ছা নিরপেক্ষ ভেসে থাকা, ডুবে থাকা—
  
প্রিয় শার্ট ছেঁড়া বোতাম—চোখে ভেসে ওঠে সুইসুতো—আঙুলের কারুকাজ
তোমার অভিমান—নিঃশব্দ ঝরে পরা পাতা
চিনতে চেষ্টা করি পায়ের রেখা, খর দুপুর—দেয়ালে আঁচর কাটে কার ছায়া


বড় বেশি মায়ায় পড়ে গেছি তোমার—স্মৃতিগন্ধ