থেকে যাই, স্বপ্নের ভিতর সংসার শূন্যলোক,
জলের প্রহেলিকা—  
কানকোয় ভর, ছুটছি গভীরতর মাছ—  
পাতাল থেকে টানছে অন্ধকার, উজ্জ্বল মিনার—
জ্বলছে মাথার উপর  
অনেকেই তো আছে ভালোই আহারে বিহারে—
                                   নির্ভার দেহ মন
ব্যবধানে রচিত হয় তৃতীয় স্বর !
আশ্চর্য ছায়া ঘোরে ঘুমের ভিতর—
তার হাত ভেবে চেপে ধরি সহজেই—উত্তপ্ত গরল !
কামিনী-কাঞ্চন যোগে অনিষ্ট নেমে আসে—
সন্ধ্যার আঁধার, নিভে যায় প্রদীপ—লুপ্ত হই ধ্বংসের মুখে!  
তার নাম ধরে ডাকি মুক্তি মেলে না—মেলে না মুক্তি !
পড়ে থাকি মুখ গুঁজে কাদায় ভাষাহীন অক্ষর—ঊহ্য।
গত হতে হতে যা কিছু ছাপ থেকে গেল  
                                         বুকের নরম জলে—
লঘুচাপে উঠে আসে শূন্য করতলে—তার মুখ ভেবে
চেপে ধরি, পাখির ঠোঁট— ফসকে যায়—আলগা করে গিঁট  
ঘোর বরষায় গত যৌবনের ক্ষত শুকায়
শৈবালদামে আটকে থাকা নদী—  
তার নামেই শপথ করি, থেকে যাই দিবারাত্রি—
স্বপ্নের ভিতর—গভীরতর মাছ—মানুষের কাছাকাছি !!