মানুষ কি এখন যুথবদ্ধ জীবনের
সংগ্রামে ক্লান্ত হয়ে সফল সঙ্গম
শেষে তৃপ্তির ঘুম দেয়?
সে কি জানে পাশ ফিরে
শুয়ে আছে অন্ধ সময়।
তবে এ পথ কি মানুষের নয়?


কি অসুখে ফিরিয়ে নিল মুখ
সভ্যতা ধরিত্রীর উর্বর ভুমি থেকে ?
হিংস্র পশুর মতো মানুষ লিপ্ত হল
অপর মানুষের জীবন বধে।
  
ধর্ষকের উত্থিত শিশ্নের কাছে
অর্ধেক পৃথিবী যখন ভয়ে কুঁকড়ে থাকে
ঘৃনায়,লজ্জায়,ক্ষতবিক্ষত যোনিতে মুখ থুবড়ে
পড়ে থাকে আমার ব্যর্থ মানুষ জন্ম !
ধমনীতে অন্ধ রক্তস্রোত তীব্র চিৎকারে
ছুঁড়েমারে আমাকে আদিম অরণ্যে
তখন কোন জ্যোতির্ময় হাত আমার
মাথার উপর আকাশটাকে আটকে রাখে?


এখনো তো মানুষ বুকের অর্গল খুলে রাখে
অমাবস্যার রাতে প্রতীক্ষায় থাকে
ভালোবাসার একান্ত মানুষটির জন্যে ।  
এখনো তো এমন মানুষ আছে,  
যারা হেমলক পান করে নত হয়
সত্য সুন্দরের কাছে!
দু’হাতে অন্ধকার ছিঁড়ে ছিঁড়ে
জীবন ঘষে আগুন জ্বালাতে ভালোবাসে !


তবে কেন তিক্ত তিমিরে নির্লজ্জের মতো
জ্বলে ওঠে আমার দু’চোখ ?  
যেন পৃথিবীর সমস্ত অভিযোগ
তাবৎ নষ্টের মূলে এই আমিই আছি  
কোন না কোন ভাবে।