গর্ভজলে সফল সাঁতার শেষে সদ্য জন্ম নেয়া শাবকের মতো
দৃঢ় বিশ্বাসে উঠে দাঁড়াতে গিয়েও বার বার ভূপাতিত হই !  
কোন ভাষা না পেয়ে যে সমস্ত ধ্বনির উচ্চারণ তাড়নায়
থরথর কাঁপছে আমার ওষ্ঠ,  
তা কখনই মানুষের তাবৎ নিষ্ঠুরতার কথা বলবে না ।
জ্ঞাত পৃথিবীর সমস্ত শৈল্পিক অনুধ্যান,
ছন্দ সুষমায় ভরপুর প্রতিটি উচ্চারণ,শব্দ ও বাক্যব্যয়
বিশুদ্ধ শান্তির নিমিত্তে !  


তবুও এই বিহ্বল সবুজে আমার নাভি থেকে রক্ত ঝরছে অবিরাম!    
হাঁটু ভাঙা দ’র মতো আমার চারপাশে
আরও যারা পড়ে আছে;      
তাম্রবর্ণ শরীরে রোদ শুষে নিতে নিতে কেউ কেউ হয়তো
ঠিকই পৌঁছে যাবে শান্তির অলীক আকাশে !
আর আমি আলোর তালাসে অন্ধকারের গুমটি ঘরে  
ঘুরপাক খেতে খেতে মিশে যাব
ঘৃণ্য অশ্লীল ছায়া শরীরে !


কোন দৈব বাণীই আমার পাপ ও ক্ষয় আটকাতে পারবে না !        
কেউ কেউ হাতের রেখায় ক্ষণিক মুক্তির পথ বাতলাবে
তারপর আবার কোন নক্ষত্র চূর্ণ প্রহরে
হস্তপদে শ্বেত কপোতীর রক্ত মেখে
শান্তি শান্তি শান্তি শান্তি স্লোগান তুলে
আগামী জীবনের জন্য পূণ্যস্থানে প্রার্থনায় রত হবে !


তবু বদলাবে না কিছুই ঈশ্বর, আল্লাহ, ভগবান, পৃথিবীর যীশু  
হিংসা, লোভ, রক্তচক্ষু,শিরা উপশিরায় আদিম ক্ষুধা,
যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা, রাষ্ট্র, পুলি্‌শ, প্রশাসন ,গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা
এমন কি মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা কবিতা !!