(প্রিয় শিল্পী সুবীর নন্দীকে )


তোমার পদধ্বনি শুনবো বলে বসে আছি এতোদিন
অন্ধকার গলির মোরে বেহিসাবি
আমি আর কৃষ্ণচূড়ার লাল মুখোমুখি  
তোমাকে যে ফিরতেই হবে... ফিরতেই হবে...    
সমুদ্র দর্শন শেষে
জিহ্বায় সেই পুরনো স্বাদ, নোনা ঘ্রাণ শরীরে
ক্লান্ত মরালীর মতো খুব ধীরে হৃদয়ের বিহ্বল হ্রদে
আকাশ জুড়ে জ্যোৎস্নার খেলা তোমার হাসি
নঞঅর্থক পৃথিবীতে খুচরো পয়সার মতো
ছড়িয়ে ছিটিয়ে  
ভিখিরির মতো যতটা পারি হাত পেতে নেব বলে
সেই কবে থেকে বসে আছি
অন্ধকার গলির মোরে বেহিসাবি
আমি আর কৃষ্ণচূড়ার লাল মুখোমুখি
দিশাহীন নিশাচর বুভুক্ষু শহর ঘুরে ঘুরে
শান্তির আশ্বাসে
তোমার পায়ের কাছেই মরবো বলে  
যাবতীয় বন্ধন ছিন্ন করে পুষ্পসজ্জা পেতেছি
নিসর্গের অতল আঁধারে
তোমার আত্মার লাল আগুনে গোটা কয়েক জীবন
কাটিয়ে দিতে স্বপ্নগ্রস্ত অনুজীব হতে
কোন কার্পণ্য নেই... কার্পণ্য নেই          
তোমাকে যে ফিরতেই হবে... ফিরতেই হবে...
কুয়াশা মোরা সকালে অন্তরঙ্গ পাখির মতো
নিবিড় ভালবেসে ব্যক্তিগত বিশ্বাসের ছদ্মবেশ খুলে
সত্তার বীজধান ক্ষেতে আকাংক্ষার ফসল ফলাতে
ফিরতেই হবে... ফিরতেই হবে...