তোমার অনেক না থাকা আমাকে আর তেমন ভাবায় না
মাঝে মাঝে দু’একটা স্মৃতির সারস নেমে আসে মধ্যযামে
যেন ঘরোয়া আয়োজনে হঠাৎ পরিচিত মুখ উচ্ছ্বসিত
চারপাশে বিপন্ন বিষাদ ছায়ার স্খলিত হাসির ঝিলিক
আলোর ফাঁদে তীব্র ক্ষরণ শেষে অবসন্ন দীর্ঘ চাহনি  
জিইয়ে রাখে আরও একটু কাছে থাকার, উষ্ণ স্পর্শের  
অমোঘ বাসনা। ভাঙনের বিপুল স্রোতে খুব গোপনে
যত্নে থাকে জলের আয়না।


তোমার অনেক না থাকা আমাকে আর তেমন ভাবায় না
শুধু ঘোর শ্রাবণে বৃষ্টিস্নাত সকালে দেখি নিবিড় ভিজে যাওয়া
কিশোরী লজ্জা। লবঙ্গ ঘ্রাণ ছড়িয়ে বাতাসে গ্রহণকালে
এঁকে দিয়ে বিনাশের চিহ্ন মেতে ওঠো উৎসবে।
ফেটে যাও অশ্লীল বিদ্রূপে। দুঃখ সুখের অনিঃশেষ পথে  
জমে যাও তীব্র শীতে। রৌদ্রের অপেক্ষায় আর কতোকাল?
শেষ প্রহরে মানুষের গান থেমে গেলে পাখিরা মুখর হয়
নির্মেঘ আকাশে।    


তোমার অনেক না থাকা আমাকে আর তেমন ভাবায় না
যদিও জানি, যাবতীয় উৎসবের দিন গত হলেও      
সব চিহ্ন ধুয়েমুছে কেউ কোনদিন যেতে পারে না।