তোমার ভিতর একটু বসি। ঘুরে ঘুরে দেখি সমস্ত গোপন  
কীভাবে সাজিয়েছ স্রষ্টার অপূর্ব বাগান—
শুকনো ওষ্ঠে উড়ছে মাছি। কবেকার সেই চুম্বনের স্বাদ
লেগে আছে বুঝি।
কৃষ্ণের বাঁশি কবেই অকূলে গেছে ভেসে— তবু কী সুখে
ভালোবেসে আগলে রাখি শূন্য যমুনার তীর।
শুধু রাধা নেচেছিল বলে?
প্রতি চুমুকেই কেন যে রক্ত উঠে আসে মুখে
অথচ গাভীর স্বননে সফেদ দুগ্ধ ভরাট সকাল  
ফুরিয়েছে লেহনের মোহন স্বাদ স্পর্শের আগুন—গন্ধহীন ফুল
কিছু না ভেবেই ফিরিয়ে দিয়েছো সহজেই —  
জলের অধিকারেই নেমে এসেছি মানুষ নামক বীজাণুতেই
লেপ্টে আছি যুগের পর যুগ এইভাবে
ঘাসের ডগায় চকচকে রোদ— ঝলকে ওঠে তোমার মুখ
বিষন্ন সন্ধ্যায় জ্বলে যাওয়া সেই মুখ দেখে আঁতকে উঠি
দৃষ্টি থেকে সড়ে গেছে আলো— আলোর ছায়া  
অকপটে ভেঙে ফেলি শাখা পল্লবে ঢাকা দেহের সজ্জিত আয়না
বুদ্ধুত্ব লাভ হলো না—হলো না নির্বাণ— বলেই পাপিষ্ঠ
অগ্নিকুণ্ডে জ্বলছি নিশিদিন
তোমার ভিতর একটু বসি। গভীরতর বিশ্বাসের মুকুট হাতে  
উঠে আসি আলোতে অতল আঁধার—