ঊনজীবনের আলাপ শেষে
তোমার অন্ধকারে হাত রেখেছি দুঃসাহসে
বেশ বুঝতে পারি, খুব গোপনে মিশে যাচ্ছে
মরচে পড়া পায়ের রেখা,
ধবল বকের সারি, শাশ্বত মন, বৃষ্টি ফোঁটা, পাতার কম্পন—


দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা
ছবির মতন ধারণ করে গুপ্ত ভাষা
ঐ দুটি চোখ খুঁজছে কাকে?
ছুঁয়ে দেখেছি মৃত্যু স্তম্ভ পাঁচটি আঙুল
ঝুলে আছে বুকের ওপর অনন্ত কাল— অনন্ত কাল!


সুরের কাঙাল তোমার শহর ছেড়ে পালিয়ে গেছে,
পোড়া জমিন— ফিরতে হলে অনেক কিছু খোয়াতে হবে—
অনেক আপোষ রফা
দু’হাতে কলঙ্ক মেখে আলো জ্বালাবে কে?
বারে বারে হাওয়া এসে নিভিয়ে দেবে!


ধুলোমাটির দেশ,ঘাসবিচালির শয্যা পাতা,আলপনাতে ছাওয়া ঘর    
বানের জলে ভেসে যাবে, আকাল এসে গিলে খাবে
মায়ের সমস্ত আদর ভালোবাসা— এতোই সস্তা!  
তোমার সেবক প্রত্যহ আমারই রক্তমাংস শুষে  
কোন বিজয়ের গর্ব করে বুকের ওপর বসে !


অশ্বক্ষুরে আগুন জ্বেলে এই ঊনজীবন বন্যদশা ফেলে
সাগর সমান দুঃখ ভুলে তোমার শুন্য বুক
লাল গোলাপে উঠবে ভরে, শিয়রে পাখির পালক,
মাথার ভিতর ঘুমিয়ে আছে কালো অক্ষর—
জাগতে হবে, জাগাতে হবে ঊনমানুষ— ঊনজীবন!!