তোমাকে জানি, ভাঙা রাতের সিম্ফনি,
আলোর নিঃসঙ্গ সহোদরা—
ঐ সবুজ হাত, আলুলায়িত চুল—
আমি মেঘ ছুঁয়ে দাঁড়িয়ে থাকি!
প্রেম—স্নায়ুতে মিশে থাকা সাপ—অন্ধ পরিব্রাজক!  
সমুদ্র লেহন করতে করতে গিলে ফেলি  
গর্জন সর্বস্ব শরীর—
জলের প্রচ্ছদে আরও আরও তৃষ্ণা—
ঝাঁপিয়ে পড়ি, শূন্যে ভাসে নীল চোখ!  
সুরা ও সঙ্গমে জ্যোৎস্না যাপন শেষে
অরণ্য জুরে ঘুমের আরক  
নিষিদ্ধ নুন মেখে যাযাবর শব্দরা ফিরে আসে
নিসর্গের আপন ক্ষতে!
দাহ হয়ে গেলে জ্বলে নিভে—পুরাতন শ্লোক!
ছায়াচক্র ভেদ করে ব্যথা-বিষে
তোমার নামেই ফিরে আসে প্রাক্তন শোক—
চেয়ে চেয়ে দেখি, তোমার সাজানো সহজিয়া সংসারে
ঈশ্বরের গোপন ছুরি হাতে
কী অভিলাষে বসে থাকে শান্ত বিড়াল!