হাওয়ার তোড়ে পাথরের ডানায়
আগুন লাগলে  
শ্বাপদের গলিত নিঃশ্বাসে
বিশ্বাসের আয়না ভাঙতে ভাঙতে
অলক্ষে ভেঙে যায় আমার মৌলিক;  
দু’হাতে অন্ধকার খুঁড়ে খুঁড়ে আমি তখন
হাতড়ে বেড়াই জীবনের গোপন সুরঙ্গ
অতঃপর জলের চক্রে পাক খেতে খেতে
ঢুকে যাই খুব সন্তর্পনে
তোমার আলোর ইন্দ্রীয়জালে;  
দেখি তোমার অন্তঃপুরে
বাজিকরের নানান রকম ভেলকিবাজি
ঢঙে বেঢঙে সভ্যের মুদ্রিত অক্ষরে
ফালি ফালি চিৎকার
পর্দা ফাঁক করে বেরিয়ে যায়
সুদৃশ্য রঙ্গিন বেলুন নাগালের অনেক বাইরে;
সমুদ্র মৈথুনে উন্মত্ত আকাশ
ফণা তোলে মেঘের কুন্তলে  
গোধূলির লালে জ্বলতে থাকে
অন্তিম মানবিক ধিক্কার    
আলো আঁধারি রঙ্গমঞ্চে
গিরগিটির মতোন রঙ পাল্টানোয়
দক্ষ মানুষগুলো যেন সার্কাসের ক্লাউন
আর ঈশ্বর মহান দর্শক!