তোমার থেকেই গল্প লিখি, তুলে রাখি স্বচ্ছন্দ দিন—
টেরচা বৃষ্টি—গুটিয়ে ফেলি ডানা, রঙিন পালক
ভিজলে ভিজুক আপাদমস্তক—
বুঝিনি এতোদিন ভুল শব্দ, জীবনভ’র—
ভুল লাইনে দাঁড়িয়ে আছি


মরচে পড়া হাতের রেখা, অসন্তুষ্ট ভাগ্যদেবী—
বারো আনায় দিল ফাঁকি চুপিচুপি
আঁকতে হবে নদীর ছবি, যীশুর মতন রক্তমাখা,
হাতে পায়ে পেরেক ঠুকে, ভাঙা তরী উজান বাওয়া—
তোমায় কেমন গেঁথে ফেলি—এক হ্যাঁচকা টানে,
বাঁকা ছিপ জলের বরশি—
আগুনে পুড়ছে শুদ্ধা-শুদ্ধি—ষত্ববিধি ণত্ববিধি !


তোমার গন্ধ থেকে লিখি— স্বাধের যৌবন, অমোঘ তৃষ্ণা—
দ্বন্দ্বে ভাঙি শখের কলস, এমন তো নয়— শুধু লাঞ্ছনা
হাত বাড়ালে জল পাবো না?

ইষ্টিকুটুম পাখির মতন হঠাৎ এলে— জানলা খুলে,  
সমাজ ভেঙে দাঁড়িয়ে গেলাম তোমার সাথে— প্রথা বিরুদ্ধ ব্যভিচারী
এমন তো নয়—চেয়ে চেয়ে দেখবো, কেবল অরণ্য—
দারুণ স্বেচ্ছাচারী, নির্বিচারে ফুলের শয্যা শুকিয়ে যাবে!