ক্ষয়ে যাচ্ছে বলিষ্ঠ চাকা, তপ্ত দিনরাত্রি !  
যাকে ভালোবাসি, তাকে চুম্বন না করেই চলে এসেছি!
ও মুখো আর হবো না কোনদিন
এমন ভাবতে গেলেই নড়ে ওঠে ডালপালা—শিল্প সমাধি!


সুন্দর—প্রতিমূহুর্তে তোমাকে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে অন্ধকার!
প্রতিবাদস্বরূপ কতিপয় শব্দ ছাড়া
আমার কাছে আর তেমন কিছুই নেই, দুটি অক্ষম হাত
বড়জোর একান্তে কয়েকটি মোমবাতি জ্বালাতে পারে,
যদিও তাতে কারোই তেমন কিছুই আসবে যাবে না;
উপরন্তু কিছু বলতে গেলেই বুক,পাঁজর চেপে ধরে
অদৃশ্য দেয়াল; রৌদ্র তাপে লালা ঝরে, জিভ খসে পড়ার উপক্রম !
উল্টে ওঠে চোখ—,  দৃষ্টি থেকে সরে যায় জ্যোৎস্নার ধবল—
চেতনায় হেঁটে বেড়ায় কৃষ্ণপক্ষীয় রাত!
যারা ঘুমিয়ে আছে তারা ঘুমিয়েই থাক,
শিথানে পাতা ঝড়ুক নিঃশব্দে —বিবর্ণ, হলুদ—বসন্ত সুখ !  


যদিও সে নান্দনিক শিল্পঅগ্নি—
তার নাভিকুণ্ডলে পেঁচিয়ে থাকা সাপ ছোবল মারার আগেই
সর্বশেষ নিজেকে জ্বালিয়ে দিই সমুদ্রের নীল আগুনে।
প্রকাশ্যে গোপনে কতো পাপ, পতন, দুঃখ শুষে নিতে পারে
এই জলধি নীরবে নিঃশব্দে!!