ভোলানাথের বিরহ (ব্যঙ্গ)
বোরহানুল ইসলাম লিটন
=======================৥৥৥


কাঁদিস নে ভোলা শুধু অকারণে
গরীবের ভালে, কখনো কি প্রেম সয়?
ভোলানাথ বলে, বুঝি না বন্ধু
কেন এ হৃদয়ে সর্বদা জাগে, প্রিয়া হারানোর ভয়!


আহার নিদ্রা শিকায় তুলিয়া
ময়লা পোষাকে, ভারি হুতোমের মুখ,
লঘু ধীর পদে রাস্তা হাঁটিতে
শুকনো দু’হাতে, চাপড়ে চলেছে বুক।
গাল মুখ নেড়ে ডাকিয়া কহিনু
ভাবিস নে ভোলা, নিশ্চয় বিধি
অনন্ত জ্ঞানী, রাখিবেন তোর মান।
ভোলা বলে মন মানে না বন্ধু
ক্ষণে ক্ষণে সদা তাহারই কারণে, ডুকরে কাঁদিছে প্রাণ।


রাত্রি দিবসে পত্র লিখিতে
দিস্তা দিস্তা, কাগজ করিয়া শেষ,
দু’চোখের নীচে কাজল মেখেছে
পাগলের বেশে, রাখিয়া লম্বা কেশ।
কাছে গিয়ে বসে বুঝায়ে কহিনু
অযতনে চলে যদি যাস মরে
কোন কালে তোর, হবে কি স্বপ্ন জয়?
শুকনা বদনে ভোলানাথ বলে
তাইতো সদাই কাঁদে অন্তর, জেগে হারাবার ভয়।


কর্ম বিমূখী মননের কোলে
ভোলানাথ সেঁধে, যখনই বেঁধেছে ঘর,
বন্ধু স্বজন দূরে সরে গিয়ে
অতি সযতনে, তখনি করেছে পর।
ডাকিয়া কহিনু, বল দেখি ভোলা
কোন মেয়ে তোর জীবনে আসিয়া
হৃদয় গহীনে, এতোটা পেয়েছে দাম?
ভোলানাথ বলে আসেনি বন্ধু
কে আসিবে মনে ভেবে প্রতিক্ষণে, খুঁজিয়া চলেছি নাম।


======================৥৥৥
পাঁচুপুর, আত্রাই, নওগাঁ।
০১/০৭/২০২০ইং।