চাপাবাজ ছোটকু
বোরহানুল ইসলাম লিটন


হন্তদন্ত হয়ে এসে বসে আমার পাশে,
বলে এলাকার কোন খোঁজ খবর আছে তোমার কাছে?
আস্ত একটা গোবেচারা খবর রাখে না কিছু,
একটা চড় কশিয়ে দেব যদি লাগিস আমার পিছু।
কি হয়েছে সেটাই আগে সত্যি করে বল?
নইলে মায়ের কাছে নিয়ে যাব ভালো হবে না ফল।
শোনো বৃষ্টি হয়ে উঠোনের নিচের গর্ত টা গেছে ভরে,
প্রস্রাব করতে গিয়ে দেখি মাছ উঠলো নড়ে।
ধরতেই হবে মাছ তাই মনে নিয়ে বল,
মাঝখানটায় নেমে দেখি হাঁটু পরিমাণ জল।
হাত দিয়েই খুঁজতে লাগি গুছিয়ে জামার হাতা,
হঠাৎ এসে মারলো গুঁতা দিয়ে মাছটির মাথা।
পালানোর সময় লেজটি এসে ঠেকলো আমার হাতে,
আট কেজি তো ওজন হবেই সন্দেহ নেই তাতে।
মাছটি যদি ধরে আমি আনতে পারতাম সাথে,
বলতে গুষ্টিসুদ্ধ সবাই খাব বসে এক পাতে।
বালতি নিয়ে দু-ভাই গেলাম সাহস নিয়ে দিলে,
টানা তিন ঘন্টায় গর্তের পানি দিলাম সেঁচে ফেলে।
সারা গর্ত খুঁজেও কোন মাছের খবর নাই,
ছোটকুটাও পালিয়ে গেলো বলে গুড বাই।
মন মেজাজটা খারাপ হলো মাথাটা হলো হ্যাং,
দেখি কাদার উপর বসে আছে মস্ত এক ব্যাঙ।


প্রকাশ কাল
০৮/১২/২০১৯ইং।