ঝন্টু দাদু ভোলাভালা
মস্ত এক ডাক্তার,
সারা এলাকা খুঁজেও তার
জুড়ি মেলা ভার।
দৃষ্টি শক্তি খুবই ক্ষীণ
বয়স যে তার আশি,
হাত যশ তার আকাশচুম্বি
সুনাম রাশি রাশি।
দেখতে পায়না চশমা ছাড়া
লিখতে কাঁপে হাত,
পেটের পীড়ায় বলে আগে
বের কর তোর দাঁত।
বাড়িতেই সে রুগী দেখে
বিশাল যে তার খ্যাতি,
আজ ঐ পাড়াতে গিয়েছিল
রুগী যে তার নাতি।
চশমা ছাড়াই বেড় হয়েছে
দাদি ছিল না বলে পাশে,
তাই না শুনে দুষ্টু নাতি
খিল-খিলিয়ে হাসে।
দেখি ভাই তোর হাতখানা
রাখ কোলবালিশের উপর,
শরীরটাতো যাচ্ছে পুড়ে
গায়ে যে ভিষণ জ্বর।
চিন্তা-ভাবনা করিস না ভাই
নিসনা মনে ডর,
একটা ইনজেকশন করে দিব
জ্বর পালাবে দিয়ে ভোঁ-দৌড়।
ঔষধ একটা লিখে দিলাম
খাবি সাত দিন,
এ্যাজিথ্রোমাইসিন লিখতে ভুলে
লিখলো হিসটাসিন।
সিরিঞ্জে ঔষধটুকু ভরে নিল
লাগিয়ে মাথায় সুঁচ,
ইনজেকশন কাঁপতে কাঁপতে করে দিল
কোলবালিশে পুশ।
ফোকলা দাঁতের হাসি দিয়ে
বলে করবি না তো ছল?
কেমন ব্যথা পেলি এবার
সত্যি করে বল?
মুচকি হেসে নাতি বলে
একটুও না দাদা,
তাইতো লোকে বলে
পাকা হাতের কথাই আলাদা।