ঈদের মতো খুশি
বোরহানুল ইসলাম লিটন
====================@@@


দুখের জলের ঢেউ
কতোটা আঘাতে আছড়ায়ে পড়ে অসহায় বুকে
দুঃখী বিনে তা বুঝে কি অন্য কেউ!!


বাক হারা জননী,
কাঁদছে অসুস্থ ছেলের শিয়রে বসে,
শিশির দানার মতো দু’চোখে বিষাদের জল
অসহায় হয়ে যেন তা চলেছে অনিবার ভাগ্যকে দোষে।
বেঁচে থাকার অবলম্বন তার একমাত্র সন্তান
ক’দিন আগেই নাকি বলেছিল
‘মাগো এই ঈদে কিন্তু জামা দিও মোরে কিনে!’
আজ ঠিকই এনেছে জননী,
স্বামীর শেষ স্মৃতিটুকু বিক্রয় করে কোন আফসোস বিনে।
কিন্তু দুরু দুরু বুকে নিষ্পলক চোখে বিছানায় শুয়ে থাকা
শীর্ণ দেহী ছেলেটি আজ কথা বলে না আর,
তবু অসহায় জননীর মেঘে ঢাকা বুকে ক্ষীণ আশা জাগে
তাই ললাটে মমতায় চুমে যায় বারে বার।


এ কি নির্মমতা!
প্রকৃতিও যেন হতবাক, নড়ছে না বলে গাছের পাতা!
কাতরে মেঘ এসে ভেলা গড়েছে মাথার উঁচে
যেন হিসেব কষছে বক্ষে জমানো দুখের জলের
বের করে তার খাতা।
তবে কি বলবে না ছেলে কথা, ডাকবে না মা বলে!
অভাগীর বুকে চিরকাল জমে থাকবে ব্যথা
অস্ফুট আশার তলে!


নিশ্চয় খোদা মেহেরবান!
সময়ের সাথে সাথে সবই মিশে গেলো কালের গর্ভে
শুধু জেগে রইল জননীর বুক
ক্ষরণের তলে অব্যক্ত খোশ পুষি,
শেষ বারের মতো আধো স্বরে তার সন্তান বলেছিল বলে
”ওমা তুমি ছিলে আমার ’ঈদের মতো খুশি’!”
তারপর---------


(সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনায়
পবিত্র ’ঈদুল ফিতর’ এর শুভেচ্ছা রইল সকলের প্রতি)


====================@@@
পাঁচুপুর, আত্রাই, নওগাঁ।
১৩-০৫-২০২১ইং।