অভাগার বিশ্বাস
বোরহানুল ইসলাম লিটন
====================@@@


নির্জনে বসে নিশুতির বুকে
অভাগা ঝরালো দু’ফোটা অশ্রুজল,
ভুখা অন্দর তাণ্ডবে মেতে
রয়েছে বলে বা চৈত্র দাহের তল।
তবুও পারে না বিবেকের ঘাতে
আশায় বাড়াতে প্রসারে হস্ত দু’টি,
যেন তা করেছে ধর্ম ভীতির
অদৃশ্য সুতা পিঠমোড়া করে জুটি।


আত্মিক টানে সজ্জন গেলে জেনে,
দ্বীনের সেবক অন্দর চলে ইচ্ছেরা কেঁদে ভেনে।
সহানুভূতিতে তাই সে একেলা
চুপিসারে বয়ে কিছু খাবারের ব্যাগ,
আন্ধারে গিয়ে দরজায় রেখে
তখনই সে করে দ্রুত পায়ে স্থান ত্যাগ।


হায় নিয়তির খেলা!
যে আকাশ ঢাকে ঘন কালো মেঘে
চাইলেও দেখা যায় কি কখনও
কতোটা আশায় জেগে আছে সেথা বেলা!


অদূরেই ছিল নগ্ন লালসে আঁধারে লুকায়ে চোর,
নিমিষেই যেন আশাটুকু হরে খুঁড়ে গেলো সেথা গোর।
পালাবার কালে পশ্চাত দেশ আবছা নজরে এলে,
অনুতাপে যেন বোশেখের ঝড় উঠে অসহায়ী দেলে।
অস্ফুট স্বরে বলে উঠে কেঁদে হে মহান দয়াময়,
চোর ভেবে মোরা করেছি যে হেলা শুধু সে চোর তো নয়!


কষ্টের কথা চুপিসারে জেনে
এসেছিল এক আঁধারে মহৎ প্রাণ,
জাগ্রত দেখে হয়তো বা গেলো
সকাতরে নিয়ে ফিরায়ে আশার দান।
ক্ষমা করো মোরে অন্তর্যামী
হয়তো পুণ্য সকলেরই আছে জমা
আমি শুধু এক অধম বান্দা
দাস জেনে করো নিজ গুণে মোরে ক্ষমা।


====================@@@
পাঁচুপুর, আত্রাই, নওগাঁ।
০৭-০৪-২০২১ইং।