রোহিণীর কথা
=========================@@@


দেহ ধরে তার দাঁড়াবে বলেই অন্তরে পুষে আশা,
ছায়াতলে এক রোহিণী জন্মে সাজলো নীরবে চাষা।
মুগ্ধ নয়নে রোজ ভাবে চেয়ে কতো এ গাছের ডাল,
ফেলবে কি মোরে তুচ্ছ ভেবে সে ডাক দিলে ক্ষণকাল!


যবে শিরে তার চারটি পত্র সাড়া দিলো পাশাপাশি,
সেদিন থেকেই মৃদুলার দ্বারে ছড়ায়ে চলেছে হাসি।
এসেছে যদি বা পতঙ্গ কভু স্বপ্ন হরার তরে,
বিশ্বাসী ধারে তুলেছে সে গড়ে প্রতিরোধ অকাতরে।


দিবসে সূর্য রাতে চন্দ্রিমা গড়ে যে সবারই খেলা!
আলো-ছায়া তাই খুশিতে সাজায় জেগে তার সাথে খেলা।
করেছে যদি বা ঝঞ্ঝার রোষ তবু মাঝে নাচা নাচি,
যুদ্ধের মাঠে নিয়েছে সে খুঁজে কাঙ্খিত ত্বরা যাচি।


জমতে দেয়নি হৃদয়ের কোণে ক্ষণিকের তরে ক্ষত,
এমনই ভাবেই করেছে সে দিন দুঃখ বা সুখে গত।
গ্রীষ্ম বরষা বক্ষে জড়ায়ে শীতের উদরে বসি,
খুশিতে মেলেছে জীবনের আশা প্রকৃতির ক্রোড়ে চষি।


আজ সে হয়েছে বেশ বড় দেহে আঁশ যে বসেছে ত্বকে,
শোভিছে শ্যামলা সতেজ স্কন্ধে ডগা ক’টা লকলকে।
ভাবে দেখে আর অপেক্ষা দিয়ে কেন গড়ি ফের শ্বাস,
মনের বাঞ্ছা সোহাগীর কাছে না করে বিনয়ে ফাঁস!


ধীরে ধীরে তাই বৃক্ষের দেহ সপ্রেমে আঁকড়ে ধরি,
শুধায় তোমাকে ভিত্তি ভেবে কি আজীবন যাবো স্মরি?
জবাবে সে বলে দিতে পারো তুমি প্রীতির দুয়ারে সাড়া,
মনে রেখো শুধু সখা সে হয় না ভীরু যার শিরদাঁড়া।


=========================@@@
পাঁচুপুর, আত্রাই, নওগাঁ।
20/03/2022ইং।



@বোরহানুল ইসলাম লিটন