সেই মেয়েটি
বোরহানুল ইসলাম লিটন


আজ দেখলাম মা মরা মেয়েটি
ঘুরছে দাদীর হাতটি ধরে,
চাঁদের মতো মুখখানি কে যেন
সব হাসি নিয়েছে হরে।
কয়েক বছর আগের কথা
ওদের সংসার ছিল ভালো,
কোন এক ‍শুভ ক্ষণে জন্ম নিয়েছিল
মায়ের বুকটি করে আলো।
কত সোহাগ আর কত যে আদরে
ভরা ছিল ওর জীবন,
চোখের আড়াল হলে পারতো না বাবা
থাকতে বেশিক্ষন।
পিতা মাতা তারে কোলেই রাখতো
সারাটা দিন ভর,
মাটিতে রাখলে ব্যথা যদি পায়
পিঁপড়া দিলে কামড়।
ওর বয়স যখন চার বছর
বুদ্ধি সামান্য অতি,
সারা বাড়ি ময় ঘুরে বেড়াতো
ওর মা ছিল গর্ভবতী।
একদা সন্ধ্যায় বিষম ভাবে
প্রসব ব্যথা হলে,
ডাক্তারে নিতে রাস্তায় মায়ের
জীবনটাই যায় চলে।
তারপর থেকে কোনদিন তার
দেখিনি মুখে হাসি,
সৎমা এলে বাপের সংসারে
হয়ে যায় সে দাসী।
সারাদিন ভর খেটে মরতো
অতটুকু ন বয়েসি মেয়ে,
সৎমা তার রাজরানী হলো
এমন কাজের বেটি পেয়ে।
বাপ টি তার জানতো না কিছু
সেটা কিন্তু নয়,
বউ টাকে যে পেতো সেতো
জমের মতো ভয়।
আড়াল থেকে থাকতো বাপ তার
মুখের পানে চেয়ে,
সৎমা যদি মারধর করে
তাই চুপ থাকে ভয় পেয়ে।
জানিনা বিধাতা কি লিখেছে
ভাগ্য লিপিতে তার,
হয়তো একদিন হারিয়ে যাবো
জানা হবে না আর।


প্রকাশ কাল
২২/১২/২০১৯ইং।