শৈশবের একদিন
বোরহানুল ইসলাম লিটন



খেয়াঘাটের দক্ষিনের ঐ
চর উঠেছে জেগে,
দুষ্টরা সব খেলতে সেথায়
মিলছে বায়ুর বেগে।


সব সেজেছে বর্গা চাষী
সাজু জমিদার,
গোঁ ধরেছে কেউ পারবে না
সাজতে চৌকিদার।


ভাঙ্গা হাঁড়ির গলা দিয়ে
তৈরি করা গরু,
ধুলার আইলে বানায় জমি
নালা সরু সরু।


কেউ লাগায় ধানের চারা
কেউ বা বুনে গম,
কেউ বা বলে কাজের জ্বালায়
আটকে যাচ্ছে দম।


পাশে যারা ছাগল চড়ায়
খাচ্ছে বলে ক্ষেত,
বিচার দিলে ভঙ্গ খেলা
ধরছে বা কেউ জেদ।


বদনা দিয়ে নদী থেকে
আনছে তুলে জল,
সেচ দিতে কেউ মেশিন বানায়
কেটে পেঁপের নল।


কাটছে ফসল উঠছে ঘরে
আমেজ সারা গ্রাম,
কেউ বা আবার হচ্ছে হতাশ
নেইকো ধানের দাম।


জমিদারে দিই যদি আজ
বর্গা অংশের ধান,
অনাহারী হতে হবে
থাকবে নাকো প্রাণ।


তাইতো সবাই জোট বেঁধে আজ
বলছে জমিদারে,
বর্গা অংশ কেউ দিব না
ফেললে ও আজ মেরে।


রাগ করে তাই সাজু বলে
খেলবো আবার কাল,
পা দুখানি দিয়ে জমির
ভেঙ্গে দিল আইল।


পাঁচুপুর, আত্রাই, নওগাঁ।
৩১/০১/২০২০ইং।