বোনটি আমার ছোট্ট অতি
কথায় যায়না পারা,
লেখা-পড়ায় যেমন তেমন
দুষ্টমিতে সেরা।
বুদ্ধিমত্তায় মাশা-আল্লাহ
বলে যাবে না করা শেষ,
চেহারা-সুরত নিঃসন্দেহে
সোনার বাংলাদেশ।
সারাদিন বাহিরে থাকি
সন্ধায় আসি ফিরে,
পড়ার টেবিলে বসলে
মাথার তারগুলো যায় ছিঁড়ে।
পাশে বসে জিজ্ঞেস করে
করছিস তুই কি?
ওসব রেখে আমার পড়া
দেখিয়ে দে দেখি?
আচ্ছা বল বাগধারায়
অহি-নকুল কি?
সাপ-বেজির খেলা আমি
অনেক দেখেছি।
এইবার বল
উইলিয়াম শেক্সপিয়র কে?
হেমলক একটি বিষাক্ত গাছ
বলিনি তোকে?
কথার প্যাচে তোর সাথে
পারা বিষম দায়,
কেন বলিস বুদ্ধি-সুদ্ধি
নেই তোর মাথায়?
বেশি কথা বলিস নে বোন
ধরে যে আমার মাথা,
রেগে গিয়ে বলে
তুই আসলে একটা যা-তা।
নোয়া তোর মাথাখানি
দেব একখান ঝাড়া,
সব ব্যথা পালিয়ে যাবে
তেল আনি তুই দাঁড়া।
যেমন তেমন মন্ত্র পড়া
দেয় শুধু ফুঁক,
তারপরও গর্বে আমার
ভরে উঠে বুক।
জ্বালাসনা বোন একদিন কিন্তু
যাবো তোকে ছেড়ে,
অমন কথা মুখে আনার
সাহস কে দেয় তোরে?
হারিয়ে একদিন হবো
ঐ দুর আকাশের তারা,
গাল ফুলিয়ে বলে
হওয়াচ্ছি তুই দাঁড়া।