=========================@@@


বুঝিনি কখন এ জীবন চুপে ঘিরেছে প্রখর খরা,
ডাক্তার বলে মিলেছে তা নাকি ঘাতক ব্যাধির ত্বরা।
খুব বেশি নেই বাঁচবার আশ
এ রোগ সহজে হয় না বিনাশ
ভাবতেই চোখ আঁধারে ঢাকলো পড়নু হারায়ে জ্ঞান,
জেগে দেখি উঁচে কর্কশে ঘুরে ঝলসানো এক ফ্যান।


ভাবনার তোড়ে চাচা যেন মোর হয়ে গেলো অসহায়,
শূন্য ভুবন চারিদিকে শুধু কেঁদে করে হায় হায়।
বাড়ি ফিরে দেখি নব হাতছানি
সকলের চোখে পানি আর পানি
বুঝনু এ মোর বিদায়ের বেলা আয়ু হয়ে গেছে শেষ,
পড়ে রবে এই ভবে সংসার হায়রে সোনার দেশ!


দিনমান কাঁদি ঘরে শুয়ে বসে বাবা মা’র কথা স্মরে,
কখনও বা থাকি ঘুমায়ে দু’খানি কবর জড়ায়ে ধরে।
বারে বারে এসে তমসার কালো
কেড়েই চললো জীবনের আলো
ফুলি কাঁদে একা নিভৃতে চুপে জানে তা আমার মন,
স্বপ্ন ভরসা তেবেলা যে ওর গ্রাস করিতেছে ক্ষণ!


কতো মাস গেলো বাড়িতেই থাকি হইনি গ্রামের বের,
ফুলি, চাচী মোর দেখা-শুনা করে ভালোবাসা মিলে ঢের।
কঙ্কালসার জরা দেহখানি
যতনে টানছে অন্তিম ঘানি
এভাবেই বুঝি শেষ হয়ে যাবে আয়ুকাল সার আঁটি,
খবর পেলে কি রাখবি না দোস্ত কবরে দু’মুঠো মাটি!


সন্ধ্যা আজকে ঘনায়ে আসলো পাখিরা ফিরছে নীড়ে,
আঁধার নামবে থাকিস না দোস্ত বাড়িতে তুই যা ফিরে,
কখনও থাকলে অবসর হাতে
আসিস একেলা চাঁদনী নিশীথে
দু’জনে বসিয়া গল্প করবো আমগাছটার তলে,
বল দেখি দোস্ত কেমন লাগবে জোনাকিরা এলে দলে!!
                        
                         (সমাপ্ত)
(’দোস্ত’ শব্দ উচ্চারিত প্রতিটি পূর্ণ পর্বে একমাত্রা করে বেশি আছে)


=========================@@@
পাচুপুর, আত্রাই, নওগাঁ।
০২/০৮/২০২১ইং।



@বোরহানুল ইসলাম লিটন