=========================@@@


ক’মাস থেকেই বইছিল জ্বর, ঝিম শরীরের বল,
ঔষধ খেয়ে বারে বারে তার মিলতো না কোন ফল।
টাকার অভাবে খেটে দিন রাতে
পারিনি শহরে ডাক্তারে যেতে
এখন যদি বা না দেখাই তবে কখন দেখাবো আর,
খাটুনির দেহ কেমনে চলবে যদি তা হয় অসার!


উছল খুশিতে বই হাতে ফুলি সকালে বললো ডেকে,
অনুরোধ কিছু করবো তোমায় বসবে না বলো বেঁকে!
ক’টা টাকা আছে মলাটের ভাঁজে
যদি গো তা লাগে আপনার কাজে
তৃপ্তির শ্বাস মহাসুখ বয়ে ভরাতো পরানখানি,
শুনিয়াই দোস্ত অক্ষি কোটরে জমলো ক’ফোঁটা পানি।


বাবা মার গোরে আছর অন্তে করবারে মোনাজাত,
সজল নয়নে বলনু তাদের তুলে দুইখানি হাত।
ক্ষমা করো বাবা জীবনের তরে
দোয়া করো মাগো অন্তর ভরে
চলনের পথে ধরণীতে যেন রেখে তোমাদের মান,
মানুষের হৃদে গড়ে যেতে পারি জীবনের শেষ ত্রাণ।


চৌদিকে চোখ ফুলিই রাখতো রান্না ওদেরই বাড়ি,
তেবেলা খাবার দিয়ে যেতে এসে কখনো হতো না দেরি।
আজকে এসেই দাঁড়ায়ে সে দোরে
বললো যাবে না শিঘ্রী শহরে!
কবে যাবে তুমি বাজানকে নিয়ে বলো না গো একবার,
খুব বুঝি টাকা লাগবে তোমার হয়নি কি তা যোগাড়?


কিছু দিন পরে ডাক্তারে গেনু চাচাকে সঙ্গে লয়ে,
অন্তর যেন কাঁপছিল এক কালো আঁধারের ভয়ে।
তারই মাঝে এসে ফুলনীর স্মৃতি
স্বপ্ন আশায় গাইছিল গীতি
রিপোর্টের আশে বসে আছি দু’য়ে নানান গল্পে মেতে,
ব্যবস্থা নিবে পাঁচটার পরে হয়তো হাতে তা পেলে।


=========================@@@
পাঁচুপুর, আত্রাই, নওগাঁ।
০১/০৮/২০২১ইং।



@বোরহানুল ইসলাম লিটন