ঝিরিঝিরি বৃষ্টি, আমার প্রচণ্ড ভালোলাগে;
দখিনা হাওয়ায় ভর করে, যখন
বৃষ্টির ফোটাগুলো চেহারায় পতিত হয়
আমার হৃদয়ে শিহরণ জাগে ।
আমি চেয়ে থাকি উর্ধপাণে,
অনুভব করি অসীম ভালোলাগার ।


ঝুমঝুম করে ওঠে যখন আমার টিনের চাল
প্রচণ্ড বারিবর্ষনে,
মন বলে, চল আকাশের কান্নায় তুমিও শামিল হও ।
কষ্টগুলো ধুয়ে যাক বৃষ্টিজলে ।


বৃষ্টিতে সারা গ্রাম চষে বেড়ানোর মজাই আলাদা,
বুজুর্গরা বলে এই ছেলে ভিজছিস কেন?
হতচ্ছড়া ঠাণ্ডা লেগে যাবে যে ।
বেহুলা মন কি শোনে সেই বৃদ্ধবাক্য?
বলতাম কিচ্ছু হবেনা;


ঝড়োমেঘে যখন মাঠের পশুগুলো দিকভ্রান্ত হয়ে
ছুটোছুটি করতো, তাকিয়ে দেখতাম তাদের তামাশা ,
মনে হত তার ছুটিরঘণ্টা বেজেছে মেঘগর্জনে ।
তারপর শুরু হত মালিকের খোঁজাখুঁজি
এইযে আমার লাল গরুটা দেখেছেন?


বৃষ্টিস্নাত সন্ধায় কাঁথামুড়ি দিয়ে
দাদু নানুদের মুখে শুনতাম কত গল্প,
অনেকে সুরে সুরে হযরত কাহিনী শোনাতেন
মেঘেরগর্জন ও দাদু নানুদের উষ্ণ আদরে
হারিয়ে যেতাম ঘুম রাজার দেশে পরীর খোঁজে ।


রচনাকাল
২১১০২০১৭
সংযুক্ত আরব আমিরাত