দুপুরের স্ফটিক রোদ্দুর আর নীল অশ্বত্থের ছায়ায় আজ বৈশাখীকে মনে পড়লো -
কোনো এক বিস্তীর্ণ দুপুরে শষ্য-হীন মাঠে রোদের ঝলমলে খেলা।
সব বেলা ফুরিয়ে গেলে যখন নেমে আসে কালবেলা,
এই তল্লাটের সবাই তখন ঘুমিয়ে পড়ে।
নির্জনতার মাঝে বটের পাতায় লেগে যায় বাতাসের দোলা,
তখন বৈশাখী এসে নাড়া দেয় আমাদের ঘরে।
সারাদিন জলে ডুবে থাকে হাঁস, পানকৌড়িরা।
কুকুরেরা ধুঁকে, মাঝে মাঝে ধুলো শুঁকে
হাজার হাজার কুকুরের আর্তনাদ শুনে ঘুম ভাঙে নবজাত শিশুর।
আকাশের কোনে কালো মেঘ জমে,
মেঘ জমে বৈশাখের-
মেঘ জমে দুরন্ত কালবৈশাখের।
এই পথ ছেড়ে দিয়ে কোথাও চলে যেতে যদি মন চায় !
কোথায় যাবো আমি?
জীবনের প্রান্তরের পথে নির্জন দুপুরে
যখন কেউ নাই কোথাও !
দুই একটা দাঁড়কাক দেখা যায়,
ধূ-ধূ মাঠে মরা ঘাস বেঁচে আছে ধূসর ধুলার ভিতর।
নতুন বছরের অপেক্ষায় তারা বার বার বেঁচে থাকে বাংলার মাঠে,
তারপর বৈশাখের অকস্মাৎ ঝড়ে চারিদিকে ধুলো উড়ে আসে নতুন বছর।
যেখানে কোনো ক্লান্তি নেই- নেই অবসন্নতা,
বছরের প্রথম হাওয়া অগোচরে এসে ধাক্কা খায় নতুনের সাথে।
বৃষ্টিরা তখন ঘরে ফিরে যায়,
নক্ষত্ৰরা চোখ বুজে।
রৌদ্র-জল সব শুকিয়ে গেলে একা একা শুধু জেগে থাকে সন্ধ্যার শীতলতা।