আমি কবি, হতে চাই সকলের, ওগো প্রিয়তমা করনা রাগ
ফুলের সৌরভ ছড়াবে গৌরব, তাতে আছে তোমারও ভাগ
অচল স্মৃতি বোনে প্রীতি, বইব সকল করুণার ভার
বাহুতে বাঁধা গুচ্ছ কথা, বানিয়ে তোমায় দেব হার।


রাঙা প্রাণের বিদায় চাহনি, স্বপ্ন ঝরে যায়রে শত
সজল মনে কাজল ভেলায়, তোমার কাছে রইব নত
বেহাগ ধ্যানে একটি তাঁরা, হঠাৎ হবে পাগলপারা
কাব্য ঝরে পল্লী শাঁখায়, মুক্ত হবে বন্দী কারা।


হৃদয় মাঝে নীরব সাগর, যায় বয়ে যায় একলা একা
উজান স্রোতে চরণ ধোয়া, পলির ভাঁজে স্বপ্ন ঢাকা
হিমগিরি ডুবল সেথায়, নীল গগনের যেথায় রেখা
পূর্ণ হতে শূন্যে এলে, নয়নখানি করে বাঁকা।


দাসি বাঁধে চুলের খোঁপা, হাসির মাঝে নাইকো প্রাণ
বনে বনে ফেরি করে, তপ্ত ছায়ায় মরা ঘ্রাণ
রপ্ত করা বাঁশির সুরে, শব্দ করে বাজে না আর
আঁখি পানে জল গড়াল, বিদায় বেলা গলা ভার।


দীপ্ত আলোয় ক্ষিপ্ত হলে, কেমনে রচি মিলন গান?
ক্লান্ত কুসুম পড়লে ঝরে, ভাঙবে তোমার অভিমান
নৃত্য ছন্দে এলে ধরায়, পুতির পাতায় রইলে জেগে
লিখতে চাই মনের মত, হারাও তুমি হাওয়ার বেগে।


বাড়াও প্রিয়া গগণ খেয়া, দাঁড়াও তুমি সাঁঝের মতন
সময় তরী যায়রে বয়ে, সুর বিহনে ছন্দ পতন
নবীন কবি সমর গীতে, ভাঙা লাজে গলায় মিঠে
ভাসিয়ে দিল শ্যামল ডানা, কোমল মেঘের আলোর পিঠে।


ঝড় হয়ে পড়ল গায়ে, ভিজে গেল প্রেমের কবি
পাতায় পাতায় গুঞ্জনে সে, এঁকে দিল চাঁদের ছবি
খ্যাতির নেশায় ঘুণ ধরেছে, কাল হয়েছে রাত্রি যাপন
তোমায় ছাড়া সব পেয়েছে, কে হয়েছে আজকে আপন?