বাহির পানে আলোড়নে সৃষ্টি হল কি?
লতার রশি বাঁধে পায়ে, আবাল বৃদ্ধা ঝি
বলে ওরা অবুঝ ছোরায়, বাহু বন্ধনে বাঁধ
মেঘ দেখে ঘর ছাড়ে, কিসের এত সাধ?
ফিনকী বয়ে বের হয়, তাজা লাল রক্ত
ঝিম চিত্র হয়নি আজো, কালা যৌবনের ভক্ত
হায় হায় চিৎকারে নৈরাশার বাণী
জীবনে বড় ক্ষতি মিছে হানাহানি
পথ আগলে আটকাতে পারেনি তাকে
দাড়িয়ে আছো বীর, মরণ নদীর বাঁকে।


আজানার দুর বহুদূর কোন এক গাঁয়
বারণ ধরে জড়ে, সন্ধানী আলোর পায়
বহমান ঘোলা জলে বিষের কৃষ্ণা
বিষ পানে বীর মেটায় তৃষ্ণা
মিষ্টি জল তুলে, মুখে ওদের পুরে
যাদের অচেতনতা, ওঠে নাই নড়ে
তাঁরা দেখে পথ চলে, ঘোর আম্যাবর্ষায়
জানা নেই কেন চলে কোন ভরসায়?


চুপেসারে লুকে ছিল বীর গহীন বনে
কোথা হতে ভেসে আসে আর্তনাদ কানে?
অন্তর পিঞ্জিরে ব্যকুল ছটফটানি
আকাশে বাতাসে ধ্বনিত হয় কানাকানি
ওহে দানবীর ভাই
শোকের আঁধার হতে মুক্তি চাই
অবেলায় অভিযানে, ময়দানে হও অবতীর্ণ
নিঃশ্বাস ফুরাবার সময় অতি সংকীর্ণ
ফেরত দাও, ফেরত দাও চেয়েছি যাকে
দাড়িয়ে আছো বীর, মরণ নদীর বাঁকে।


দূর মরিচিকা, কে ডাকে তোমায় পিছু
চোখের মণিতে ঝিকিমিকি আলোর রেখা
ওসব পরোয়া করোনা কিছু
বিশ্ব ভাগাড়ে আধমরাদের দ্বায় চেপেছে ঘাড়ে
সুযোগ সন্ধানী আঘাত আনে বারে বারে
থামবে এ পথে চলা, বল কোন লোভে
নাই কিছু কি, তা বিনে এই ভবে?


দুর্মর দূর ভাষায় বল, আমি সেই বীর
গনগনে আগুন জ্বলা, ধূলা যার নীড়  
এসেছি মায়ার বন্ধন ছিঁড়ে, ধরেছিল ধ্রুমজাল ভিড়ে
এসেছি নিতে মানবের জয়
রায় হবে বিভতস্য পরিণাম, তবু নাই কোন ভয়
অগনিত বীর ফুলের মাঝে হাসে
মুক্তির আলো ধরা, জবাব দেবে তারা
যারা আশার স্বপ্ন হয়ে ভাসে।