নিজেকে নষ্ট করে তোমাকেই ভালোবাসতে হবে?
কেন?


গল্পের অক্ষরে লেখা জীবনের গদ্য কবিতা
আর তুমিহীন হৃদয়ের সরস যাতনা
দুইয়ে মিলে আজ একাকার।


যার চাওয়া অনেক বড়
তার সীমানায়
আমার পদার্পণ অনুচিত।


যাত্রা পথের পিছুটান
তাতেও যদি ভাঙে মান
রইব চেয়ে রইব চেয়ে
হোক না যতই অসম্মান।


এমনি যাবে দিন
যেন তুলনাহীন
সাধের বৈশাখী জীবন।


ভেজা চোখে রোপন করি গোলাপের চারা
সেই গাছে নিত্য ফোটে কষ্টের ফুল।


নীলে নীল হয়রে আকাশ
সেই জ্বালা তার মনের প্রকাশ
রং ছড়ায়ে রংয়ের বিকাশ
আমি দিন হীন
শোধ করে যাইওরে বন্ধু
আমার দেয়া ঋন।


সময়ের সাথে তোমার ব্যাবধান
আর তোমার সাথে আমার।


বন্ধু তুমি স্মৃতির অলংকার।


যদি চলে যাওয়ার পথে
ফিরে আসা যেতো
মনে শিহরণ লাগে
বল কেমন হতো??


ভালোবেসে জীবনকে নরক করি না
বরং নরককেই ভালোবেসে স্বর্গ করি।


ফিরব বলে কুড়িয়েছি ফুল
প্রিয়া আমার খেলাতে মশগুল।


আমার যে শহরে ভালো লাগা
সেই শহরে মৃত আত্নার বাস
পদ্ম কোমাল গন্ধ ফুলে
দিকে দিকে ছড়ায় উপহাস।


আশা করা পাপ, আশা করা অন্যায়
আশাগুলো ভেসে যায়, নিরাশার বন্যায়।


চতুরঙ্গ মনের দরজায় আঘাত করে
ফিরে আসার নামই সান্ত্বনা।


হেমন্ত এলো, তুমি এলে না
এমন হওয়ার তো কথা ছিল না
তবুও ভালোবাসি অদূরদর্শী
যত পাই আমি, মরে যাতনা।


মাথা থাকলে খেতে হয় ঘুষ
মাথা নেই বলেই মানুষ।


অল্প কথায় ঝরায় যে মধু
গল্প করে তোমার হাতে
ধরিয়ে দেবে কদু।


খুচরো পয়সার জীবন
যেন ঝনঝন করে বাজে।


পকেটে আমি ভাত খুজি
পাতিলে খুজি টাকা
হায়রে তুমি খোকা
হায়রে আমি বোকা।।


ফরমালিন মাখা স্বপ্নগুলো
বুড়ো বয়সেও রং চমকায়।


পর ধনে মন পুষ্ট
অল্পতে সে নয়রে তুষ্ট
জীবন হয় বরবাদ
আসিলে মৃত্যুরি সংবাদ।