আজো পূর্ণ নয়, কেবল শূন্য অনুভব রীতি
ধুলো পড়ে, হৃদয় পটে তুলে রাখা স্মৃতি
যুগ লেখে, মলিন ঋণের পাতা
সূক্ষ্ণ থেকে সূক্ষ্ণ দহন কথা
অসৎ সাধুদের বিশ্রী সাধু বাণী
এই নিয়ে জনপদে কত কানাকানি
উৎসাহে যতদূর আমি এগিয়ে যাই
পিছন ফিরে দেখি, সাধু পিছে নাই।


জয় মাল্য জয় দাদা ভাই
বলে সাধু আর কত চাই
ভোরের উঠোনে সাধুর তীক্ষ্ণ ভাষণ
মাজ সবে আমার থালা বাসন
একটু যদি দেখতেন নয়ন তুলে
উদার মনের দুয়ারখানি খুলে
এ অধম হয়ে যেত অমর
সাধু সাধু ছুটবে কত ভ্রমর!


দেশের তরে নাই, যদি তোর ধ্যান
কেন শ্বাসে মেলাশ বাংলার বাতাস?
ছাড়িস কেন? স্বার্থের হা-হুতাশ
কেন ভুখানাংগা ওস্তাদ হতে, করলি জ্ঞান অর্জন
দূর পরবাসে অর্থ লুটে, ওঠাস কিসের গর্জন?
তোর সাধের দেহ, এই বাংলারি দান।


ওরে তোর আশায় পথ চেয়ে, ক্ষুধার ব্যাথায় ক্ষয়ে ক্ষয়ে
কতজনিতো ঘুমায় মরে, তোর নামটি বুকে ধরে
প্রেমিক হাতের শরবত করবে পান
আর তুই বেটা! চেলে পুঁটির মত নিয়ে, মঞ্চে দিলি জ্ঞান
মশালে দে আগুন ধরে, মুখখানি দেবো পুড়ে
বেটা পাক না পোড়া ঘ্রাণ।