শুন্যতার প্রহরে সোনালী সময়, যায় না কভু মোছা
জীবন পাণ্ডুলিপি খুজে দেখি, জীর্ণ পাতায় স্মৃতির খোঁচা
বোমারু বিমান জেগে ওঠে, কোমল নারীর নীলাভ চোখে
দুই মেরু দুই দিকে টান, শূন্যে সে রয়েছে ঝুকে।


সে কি হবে বেহালার তার, ঘুম জাগা শ্যামল বনে
বইবে কি বিশ্ব আঁচলের ভার, বোঝে না কেউ বিদায়ের মানে?
মর্ত চুরুটে ধরাই আগুন, কে টানবেরে কালো ধূয়া
কে আনে প্রেমের ফাগুন, কুলূপ এটে যায়না সয়া?


মরা লাশে সরব বেশি, সাগর তলে আগুন খরা
রক্ত শোষে বদ্যি মানব, যুক্তি দিয়ে উন্নয়ন ধারা
নষ্ট ঘিয়ে পোকার উৎপাত, বেলে জমিন পুড়ে ছাই
প্রাণ লুকায়ে থাকি একা, মরুর তপ্ত বালুর গায়।


ধ্বংস স্বরে ভরেছে ঘর, উদ্দাম হাওয়ায় বজ্রপাত
সভ্যতার বুকে লেগেছে আগুন, পুড়ে যাচ্ছে দানব জাত
বটের চুলে কুঠার আঘাত, সুতোয় বাঁধা বিরাগ মন
ধ্বংস মুলে ক্ষতের দাগ, প্রীতি লোভে সঁপে ধন।


শীতের রাতে উষ্ণ প্রেম, নিশিতে চোখ রাঙিয়ে যায়
কনকলতা হারিয়ে গেলে, বল কে নেবে দ্বায়?
ধ্বংস নগরে কান্নার মাতম, চির মুক্তির স্বাদে আত্নহারা
বেলাভুমে পড়ে রবে ঢেউ, বইবে না কলকলে স্রোত ধারা।


সবুজ শ্যামল বিরান ভূমে, মানব জাতির ছিল বাস
সেদিন থাকবে না পৃথিবীর বুকে, বিরহে পোড়া মরা ঘাস
যান্ত্রিক নগরে তান্ত্রিক লীলা, দিন রাত আঁধার ছায়া
জীবাশ্ম থেকে জানবে কেউ, প্রাণ ভরা ছিল কায়া।