তারুণ্যের আলো জেগেছে আজ, তুমুল ধ্বনি কপালে ভাঁজ
ধারালো যুক্তিতে মুক্তির দিশা, বুকফুলে সংগ্রামী সাঁজ
নগ্ন পদযাত্রায় জীবন ফোটে, মুখে বাজেরে বাজে শঙ্খ
কে বলেরে ভীরুর দল, মৃত্যুকে আমরা করি আতঙ্ক।


আত্নভোলা যাত্রী সবাই, শুনাই চঞ্চল বিনাশী গান
অনন্তকাল ধরে মুক্তির প্রবাহ, এযে বাংলা মায়ের দান
আঠারোয় জাগে দুরন্ত খেলা, বন্দী শিবিরে পড়ন্ত বেলায়
বন্ধু আমার করি আরতি, যোগ দেবেরে তরুণ মেলায়।


স্বার্থ ভুলে রাঙারে মন, ভাঙা কণ্ঠে তেলেসমাত
ঐ শিবিরে বিদায় সুরে, কাঁপছে আমার নবীন হাত
তাজা প্রাণের মরা জিভে, তুমুল বেগে ভাটির টান
দস্যি ছেলের ঠোঁটের কূলে, মরা গাঙে ভরা বান।


গুমোট ধূয়ায় নয়ন মেলে, মৃত্যু এলে চাই বিদায়
মন্ত্র এক শাস্ত্র গীতে, সুর মাতালে করি আদায়
ক্ষুদ্র বুকে ঢেউ খেলেরে, অসীম সুখের প্রলয় নাচ
ঈর্ষা কুটির ভস্ম করি, ভেঙে ফেলে সমর কাঁচ।


নরক কাঁপায় চোখের আগুন, শ্বাসে বয় হা-হুতাশ
নিভে দিয়ে দহন জ্বালা, শত্রু পায় উদার আকাশ
যুগে যুগে দেই করতালি, ভার তুলে হই খাড়া
জয় আমাদের হবে জয়, স্বপ্ন ধরে দেই নাড়া।