শালবনের বাতাস হীম শীতল,
মাথার উপরে চাঁদ, চাঁদের গায়ে চাদর,
চাদরে ঢাকা মুখে নীলচে ছায়া।
চোখের কোণ দিয়ে, ঠোঁটের পাশ ঘেঁষে-
গড়িয়ে পড়ছে গোধূলির লালিমা।
আমার কাছে কীসের এতো লজ্জা তোমার?
ঐ দ্যাখো, শালবনের আকাশ ভরা আলোক বিন্দু,
সিন্ধু নদের টলমলে জলের উপরে লিখে চলে-
তোমার, আমার আর আমাদের অপার্থিব এই ইহকালের গল্প।


রাত বাড়ছে, বাড়ছে শীত, কাছেই কোথাও-
একটি তৃষ্ণার্ত ডাহুক অক্লান্ত ডেকে চলেছে।
যেন একটা 'গ্রান্ড ফাদার' ঘড়ি ঘন্টা বাজিয়ে চলেছে নির্দিষ্ট বিরতিতে।
শত সহস্র দিনের তিয়াসে চৌচির বুড়ো পাকুড়ের শরীর।
চামড়ায় পরেছে ভাঁজ; পরতে পরতে বাজে হারানো দিনের সুর।
শালবনের আকাশে বাতাসে তপ্ত দিনের আনাগোনা, তবু-
বাড়ছে বাতাস, হীমহীম, শীতল; ভাঙা জানালায় আটকে থাকে-
আমাদের যতোসব না বলা উপাখ্যান!
কাছে এসো, এসো একই চাদরের তলায়, তারপর-
আলিঙ্গন করে মুখবন্দি করো আমার বুকে,
ধরে থাকো অনন্তকাল! শালবনে আগুন, আগুনে পুড়িয়ে-
ছাই করে দেবো যতো অব্যক্ত দুঃখ, বেদনা। থামবে ঝড়,
কাটবে ঘোর  আর ঘোরলাগা অমাবস্যার রাত, তারপর;
তারপর পরমাত্মিক উষ্ণতায় বন্দি হয়ে আমরা দুজনে মিলে,
কোন এক 'দেবী নবনীতা'র গল্প লিখবো।


|| দহন-৬, নিশি তৃষ্ণা ||
©সুব্রত ব্রহ্ম
এপ্রিল ১৬, ২০১৮ইংঃ
ময়মনসিংহ।