তোমার রাজবাড়ির ছাদের কার্নিশে
একটা কাক আমি ভিজে শোরগোল,
তোমার সাজানো সংসারের অলিগলি দেখে
আমার চোখে নামে খরস্রোতা ঢল।


চৌদ্দশত সতেরো'র প্রথম প্রহরে
বৈশাখের প্রভাতী গানে,
লাল-সাদা শাড়ির ভাঁজের মাতাল করা সাজে-
তোমায় খুঁজে পেলাম নতুন তানে।
(লোকাল) বাসে চেপে দুজনের শহর দেখা
ধুপখোলা টুউউ মতিঝিল,
কখনো আবার জাহাজবাড়ি, মিরপুর দশ-বারো ঘুরে
উলটো রুটে ফেরা হাতির-ঝিল।


একেএকে চলে গেছে চারটে বৈশাখ
প্রেম যেন জমে যাওয়া ক্ষীর,
তোমার কোলে মাথা রেখে দেখা চিরচেনা আকাশেতে
ছুঁড়ে মারা সাতরঙা তীর।
মনে পড়ে সেদিনের সেই গোধূলী লগন
শপথের মালায় বোনা,
ঠোঁটে ঠোঁট রেখে বলা অবোধ্য কবিতারা
নিরবে ঝারতো ডানা।


এই তুমি বেশ আছো নিজের মতো
আগেপিছে ছানাপোনা,
ছবির মতো সাজানো নিপাট সংসারে
সুখ পরীর আনাগোনা।
আজ আমার প্রশ্নও নেই চাইনাও উত্তর
জীবন বোধ হয় এমনিই বর্নিল
আজ দূর থেকেই বলে গেলাম-
জেনে রেখো আগের মতোই
আছে একটা বড় মাপের দিল।


আছে যারা আমার মতো ঠকে যাওয়া হৃদয়
অধরা প্রথম প্রেম,
জেনে রেখো ঠকে গিয়েও বেশ আছি ভালো আছি
তবু লাগাইনি ট্রাফিক জ্যাম… ট্রাফিক জ্যাম!


©সুব্রত ব্রহ্ম
জানুয়ারি ১১, ২০২২ইং
ময়মনসিংহ।