তোমার কথায় এত ধার ছিল যে, মনে হত
আগ্নেয়গিরির লাভা  স্ফুলিঙ্গ হচ্ছে।
দাবানলের দমকা হাওয়ায় পথ চলত চোরা পথের বাঁকে,
মিলিয়ে যেত  তোমার ঠোঁটের বাকা হাসি টোল পরা গালে।
তোমার চোখে না জানি জ্বলছে কোন উষ্ণতার আগুন...
হিমাদ্রী স্বরূপ বাহুবলে এসে যখন আবেগ-
গুলো ছিটকে পড়ল মাটিতে
তখন ছিল শ্রাবণ-
মৌসুমী বায়ুর  আনাগোনা তোমার চারপাশে-
তবুও যেন আগুনের গোলা ঝলসে উঠছে তোমার দু-চোখে।
কিসের এত ক্ষোভ- কিসের এত অনুতাপ-কিসের এত রাগ
কিছুই বুঝতে পারি নি- অবশেষে- হাত ছেড়ে চলে গেলে দূরে-বহুদূরে...
কোন মহাসাগরের খোঁজে.--একচিলতে মিলিয়ে যাবে তোমার কান্না- তোমার রাগ-অভিমান।
অরাজকতার রাজ‍্যে চলছিল তোমার স্বাধীনতার যুদ্ধ- - দূর্গম গিরি পথে চললে একা যাত্রী...... মাঝ দরিয়ায় থমকে গেল তোমার জীবন।
নেমে আসল একমুঠো হাসি।
এত খুশি এত হাসি- দেখিনি কখনও। হাসিতে এত অমীয় আছে ....
অপূর্ব লাগছে তোমায় এমন দেখিনি আগে
এযেন অন্য রূপ -নিরুপম....
কী জানি কোন কালবৈশাখী ঝড় তোমার জীবন করেছিল ছন্নছাড়া
আজ তুমি বাঁধন ছাড়া- পাগল পাড়া----
কিন্তু... তুমি কে? আজ ও চিনলাম না --
এখনো তো রয়ে গেলে ধোঁয়াশার কৌতূহলে......।।!