তুমি নারী! কেমন অনায়াসে লবন হলুদ মশলা মেখে,
রান্না ঘরের চুনকালিতে দিব্যি আছ সংসার নিয়ে সুখে।
তুমি নারী-ই বটে - শান্ত-নম্র-ভদ্র।
আর ও বাড়ির বউটিকে দেখ কথায় কেমন ধার আছে!
বি.এ এম.এ ডিগ্রি আছে। তুমি তার কাছে নগন্য।
তাতে কি হয়েছে- তোমার কলমের ধারে তুমি তো অনন্য।


তুমি নারী! কেবল নারী!
তোমার কথা কি আর ভুলতে পারি?
গায়ে তোমার সোদা মাটির গন্ধ।
তুমি নারী!তোমার মূল্য কেউ দেয়নি
তোমার কথা কেউ ভাবেনি।
তাতে ক্ষতি কি? - ভেবোনা তুমি কেবলই নারী।
তুমিও পারো তাদের মত, নেই তাতে জারিজুরি।


তুমি নারী!
তোমার মত গুণের আধার আর কয়জনের হতে পারে।
ও পাড়ার মেয়েটি দেখ; কেমন শীতে মুখ লুকিয়ে....
তাকে নিয়ে বেশতো লিখতে পার....?


তুমি নারী! দশ হাতে দাও পারি।তুমি নারী! তুমি সব পারো।
শুনেছি তোমার কন্ঠে নাকি সুর আছে;
রান্না ঘরের খুন্তির তালে গুন্ গুনিয়ে শব্দ বাজে।
তবে আর দেরি কিসে? ও বাড়ির বউটিকে দাও বুঝিয়ে--
তুমিও পারো দশভুজা দশজননী হতে।
তুমিও পারো সংসার সন্তুতি সামলে ইচ্ছে গুলোকে আকাশে ভাসিয়ে দিতে
তুমি নারী! ভেবোনা, তোমার ইচ্ছের কেউ দাম দেবে না-
তুমি তো লগ্ন-ভ্রষ্টা মেয়ের দিশারী। ধর্ষকের বিনাশকারী।
তুমি একাধারে যেমন জননী।
অন্যদিকে শতগুণে জগত পালিনী‌।
তুমি নারী! কেবলই নারী! তোমার দীপ্ত চোখে জ্বালাও বার্নিশ।
তুমি নারী! তুমি অনন্যা! তোমাকে জানাই কুর্নিশ।।