সিগারেট চুমুকে জ্বলতে থাকে তামাকগুলো
ধুম্রশিখা কুণ্ডলী পাকে উঠে যায় উপরে
মিশে গিয়ে বিলীন হয় বাতাসে
শুধু দেখি ধোঁয়া উড়ে; দেখিনা বাতাস শেষে
চায়ের কাপে চুমুক আর তাকানো এদিক-সেদিক বিবশ খেয়ালে
মধ্য দুপুর; চলে যায় যে যার মতো
রাস্তা যে পথে গিয়েছে চলে
প্রিয়তমা তুমিও গিয়েছো সে পথে


কাকের খেয়ালীপনা ডাকে
আর চা বিক্রেতার চামুচ ঘূর্ণনে
পড়ে থাকি আমি একা এ দুপুরে
এ শহরের রাজপথের টং দোকানে
যে যার পথে চলে যায় কেউ দেখেনা আমায়
পথগুলো যেনো পথের জন্ম দেয়
কাঁচা থেকে পাকা হয় সময়ের ব্যবধানে
শুধু আমি পড়ে থাকি-
টং দোকানের ভাঙা বেঞ্চিতে, চায়ের কাপে সিগারেট চুমুকে
শহুরে ডাস্টবিনের পাশে


এখানেই আমি দেখি অবচেতনে
কেউ কিছু একটা খুঁজে, পিঠে জীর্ণ ছিন্ন থলে
উস্কো খুস্কো চুলে আর গাত্রচর্ম ভরা দাগে
খালি গায়ে, পুরুনো প্যান্টে, পাদুকাহীনে
দৃষ্টিহীন পৃথিবীর এক শিশু, পুষ্টিহীনদেহে
সে খুঁজে ফিরে ক্ষিদের জোরে আপন মনে
শহুরে ডাস্টবিনের আবর্জনা হতে উত্তম কিছু পাবে বলে
ঘেউ ঘেউ ডাকে কুকুরও আসে তেড়ে
সেও খুঁজে ক্ষিদের জোরে
আবর্জনা হতে উত্তম কিছু পাবে বলে


দুজনেই খেঁচাখেঁচি করে খায়
আবর্জনার উত্তমাংশ থেকে,
হয়ত শহুরে রাজপথের আবর্জনা খেয়ে
জীবন চলে দুজনের এভাবে !


-মার্চ ১৯, ২০১৮ চট্টগ্রাম