কন্যা-জায়া-ভগিনী-মাতা
কতভাবে বিরাজিতা।
তুমি লজ্জাপটাবৃতা
সীতা-রাধা-মেরি মাতা।
সেই দ্বাপর যুগ হতে
অগ্নিপরীক্ষা নিজ সতীত্বে।
ভাসাও তরী খেয়ালস্রোতে
বস্ত্রহরণ দরবারেতে।
সারগোট তুমি জঠর কূপে
জন্মদাত্রী দেবকী রূপে।
লখিন্দরকে দংশিল সাপে
মনসা মাতা ধুনাধূপে।
পরের হলুদ গায়ে মেখে
কালো জলে কলসী কাঁখে।
অপত্যের লালনপালনে
মাতৃরূপে উদ্বোধনে।
সাদা বসনে কাদা ছোঁড়া
মজে কত কুলীন গোঁড়া।
বগলা বেশে কালী খাড়া
মোহিনী হলে মাতাল পাড়া।
ঘোমটা তোমার ভূষণ লাজে
মন লাগে না কোনো কাজে।
সখার কাছে প্রেয়সীর সাজে
বৃন্দাবনে গোপিনীদের মাঝে।
সুপুরি কাটো মায়ে ঝিয়ে
নকশিকাঁথায় আকার দিয়ে।
আপন ভাবো নিজের চেয়ে
খেলাঘর পরকে নিয়ে।
সৃজনে পালনে বিশ্ব নিখিল
দ্বিধা দ্বন্দ্বে থাকো শিথিল।
অভিশাপে অহল্যা শিল
অধিকারে যোশদা সামিল।
জ্যোৎস্না ওঠে একটা চাঁদে
দেবী দাসী ভন্ডের ফাঁদে।
সারদা আজ বিবেক কাঁদে
জগত অচল তুমি বাদে।