হোয়াটস আপ এ স্ট্যাটাস এ তার নাচের মহড়ার ছবিটা দেখেই মনে হয়েছিল আলাপ প্রয়োজন।
নীল রঙা ধ্রুপদী শাড়ির ভাঁজে আবক্ষ সেই ছবি
আবশ্যক পায়েল জড়িয়ে থাকা স্থানটির দর্শনে হয়েছে অক্ষম।
তবু সে যেন বেশ এক রঙ্গ।
রঙের আবেশ ভেঙে আবার সেই মুখ ফুটলো আর এক স্থিতিতে।
ঘরোয়া গঙ্গার নিত্য নৈমিত্তিক স্রোতের মতোই যা অত্যন্ত শীতল , সুন্দর ও শান্তিময়ী।
আবারো নাড়া দিলো পুরাতন স্বর - হতে পারে দেখা, বাড়তে পারে ভালো বন্ধুর অমূল্য তালিকার অক্ষর!
তারপর মনে হলো না থাক,
তারপর আনমনা মন কত যে চোরাই শালিখ গুনেছে,
কতই যে মাইল পেরিয়েছে এক টুকরো মন,
আর কতই যে সংশয়ের গোলকধাঁধায় দিয়েছে নিজের বুদ্ধির কবর-তার হিসেব নেই।
শুধু নীরবে মনের অনাহত নামে যখন হৃদয় ছেয়ে উঠলো ফোয়ারা ,
বৃষ্টির আমেজ আরামের নিঃশ্বাসে গায়েব করে দিলো দিনের ক্লান্তি।
তখন রাতের চাদর মুড়ে সেলফোনের জোনাকি আলোয় জেগে উঠলো কথার রাশি।
না রে মেয়েটির মুখে একটা আলাদা মিষ্টতা আছে।
আর হাসিটাও বেশ নিভে যাওয়া মোমবাতির স্তব্ধ আলোয় ফুটে ওঠা অস্ফুট অন্ধকারের মতোই নিবিড়।
চোখ দুটিতেও যেন কোনো সুদূর জন্মের আত্মীয়তার ছাপ। যেন চোখের কাজলের মৃদু আভাস একটা ঘন বন্ধুত্ব-র দ্যোতনা দেয়।
আর কেশরাশির মধ্যে সরলতা যেন ওর মনের মধ্যে বিছিয়ে থাকা নিস্পাপতা কে জানান দেয় বারবার
সত্যিই ওই মুখাবয়বে ছড়িয়ে থাকা মায়ার বিচ্ছুরণ যেন মনের মধ্যে এক অজানা উৎসবের সূচনা ঘটায় যা মানুষকে বলে এবারও কি তুমি বলবে এ পৃথিবী অসুন্দর!!?
লিখেও ফেললাম চ্যাটের মোড়কে দুটি টিকের অপেক্ষায়।
এ যেন অপূর্ব বিশ্লেষণভরা গবেষণাপত্রের নামি পত্রিকার সম্পাদকের টেবিলে পরে থাকার সৌভাগ্যের মতো।
কিন্তু তারপরই শালীনতার মানদণ্ড খুঁজে মন চলল গভীরে।
আমি বলে উঠলাম
আর বেশি বলবো না। যদিও বলা যায় আরো। কিন্তু কিছু বলার ইতি টানাতেই তার সার্থকতা।
শ্রোতা তখন ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে অস্থির।
তাই বলতেই হল -আর অযথা তোর কাছে লেহ্য দ্রব্য হতে চাইনা।
হয়তো চাই অন্য কিছু হতে - তোমার রঙের পালকিস্বপ্নের সেই দূত।
যে পৃথিবীকে করেছে আবিষ্কার নতুন করে
নতুন ভোরে
নতুন আলোর মোড়ে
পুনরায় তোমায় খুঁজবে বলে।